ট্রেনের টি‌কিট কা‌লোবাজা‌রির অ‌ভি‌যো‌গে মো. রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তারের পর ইতোমধ্যেই তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের টি‌কিট বি‌ক্রির দা‌য়ি‌ত্বে থাকা সহজ লি‌মি‌টে‌ড। কমলাপুর স্টেশ‌নের সার্ভার রুম থে‌কে তাকে গ্রেপ্তারের পরই এমন তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

এবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার রেজাউল করিম তাদের মাঠ কর্মীর একজন সাপোর্ট স্টাফ, ইঞ্জিনিয়ার নন।

বৃহস্পতিবার সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি'র পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৬ বছর ধরে মো. রেজাউল করিম রেজা বাংলাদেশ রেলওয়েকে স্টেশন সাপোর্ট দিয়ে এসেছেন। তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গত ৪ সপ্তাহ আগে তাকে নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি'র আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে আরও জানানো হয়, র‍্যাবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি গত ৬ বছর ধরে টিকিট কালোবাজারির সাথে যুক্ত আছেন। আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে যুক্ত হবার অনেক আগে থেকেই তিনি এই ঘৃণ্য অপরাধ ঘটিয়ে আসছেন। আমাদের কাছে র‍্যাবকর্তৃক তার অপরাধ  চিহ্নিত হবার তথ্য পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে চাকরিচ্যুত করি। অভিযুক্ত ব্যক্তি মাঠ কর্মীর একজন সাপোর্ট স্টাফ, ইঞ্জিনিয়ার নন।

ভবিষ্যতে এমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি। একইসঙ্গে ট্রেন টিকিট কালোবাজারি নির্মূলে র‍্যাব এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে রেজাউল করিমকে সফলভাবে চিহ্নিত করার জন্য র‍্যাবকে অভিনন্দন জানিয়েছে তারা।

এর আগে নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার কমলাপুর স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় সার্ভার রুম থেকে রেজাউল করিমকে র‌্যাব-১ এর উত্তরা কার্যালয়ে নেওয়া হয়। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। এরপর বুধবার রাতে রেজাউলকে এবং তার দেয়া তথ্যমতে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তার কালোবাজারি টিকিট বিক্রির সহযোগী এমরানুল আলম সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা বিপুল পরিমাণ ট্রেনের ই-টিকেট জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার র‍্যাবের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ছয় বছর ধরে রেলওয়ের টিকিট বিক্রির কার্যক্রমে জড়িত রেজাউল করিম। প্রতিবছর ঈদে ২ থেকে ৩ হাজার ট্রেনের টিকিট সরিয়ে নিতেন তিনি। যা কালোবাজারিতে বিক্রি করে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা আয় করতেন অভিযুক্ত রেজাউল করিম।