বার্ষিক বাজেটের প্রায় ৬ থেকে ৭ শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে সরকার ব্যয় করছে বলে জনিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো.শাহাব উদ্দিন। 

তিনি বলেন, এই ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ দেশীয় উৎস থেকে আসে।

বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে জাতিসংঘের মূলধন উন্নয়ন তহবিল-ইউএনসিডিএফ আয়োজিত ‘লোকাল ক্লাইমেট অ্যাডাপটিভ লিভিং ফ্যাসিলিটি’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধির সাথে অভিযোজন অর্থায়নের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। ২০৫০ সাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য আমাদের অভিযোজন খরচ অনুমান করা হয়েছে ৫৫ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে বার্ষিক পুনরাবৃত্ত ব্যয় হবে ১১২ মিলিয়ন ডলার। অভ্যন্তরীণ মৌসুমী ব্যয় অনুমান করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার।’ 

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের উচ্চ ব্যয় কল্যাণ, আয় বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য নিরসন কর্মসূচির জন্য আমাদের বরাদ্দকে প্রভাবিত করবে।’

বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা-২০২২ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি মর্যাদা থেকে উত্তরণের জন্য অভ্যন্তরীণ সরকারি এবং ব্যক্তিগত উৎসগুলোতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হবে। আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল প্রবেশ করার জন্য আমাদের আরও সুযোগের অনুসন্ধান করতে হবে। জাতিসংঘের মূলধন উন্নয়ন তহবিল এবং আমাদের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে স্থানীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এই প্রোগ্রামটি জলবায়ু অভিযোজিত কার্যক্রমের জন্য স্থানীয় সরকারকে অনুদান স্থানান্তর করতে সহায়তা করছে। 

দীর্ঘমেয়াদী বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে ২৩ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে সভায় জানান শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, ২০১৮ থেকে ২০৪০ সময়ের মধ্যে আমাদের প্রয়োজন ৪ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। আমরা প্রতি বছর সবুজ জলবায়ু তহবিল থেকে ২ বিলিয়ন ডলার সংস্থানের পরিকল্পনা করছে সরকার। বাকি অর্থ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ এবং বেসরকারি খাতের কাছ থেকে পাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

অধিবেশনে ইউএনসিডিএফ-এর নির্বাহী সেক্রেটারি প্রীতি সিনহা ছাড়াও স্বল্পোন্নত দেশ, সিআইডিএস ও আফ্রিকান দেশগুলোর মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে অন্য সদস্যরা হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব কবিরুজ্জামান চৌধুরী।