নেত্রকোনার মদন থানার মাখনা সাকিন গ্রামের মাঠের একটি ধানের জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ দীর্ঘদিনের। ওই জমিতে ধান কেটে দিতে রাজি না হওয়ায় খায়রুল মিয়া (২৯) নামে এক দিনমজুরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। তিনি দিনমজুরির পাশাপাশি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন।

ওই মামলায় দুইভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- শফিকুল ইসলাম ও মোস্তাকিন ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়ি মদন থানার মাখনা গ্রামে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের -সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, বুধবার রাতে গাজীপুর থেকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় শফিকুলকে। তার দেওয়া তথ্যে পরবর্তীতে তার ভাই মোস্তাকিন ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডি জানায়, শফিকুল ও মোস্তাকিনের দুলাভাই হক মিয়া সাকিন এলাকার এখলাছ মিয়ার কাছ থেকে ২০২১ সালে ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করে চাষাবাদ করেন। বিক্রেতা এখলাছ মিয়ার ভাই এলাই মিয়া ওই জমির অর্ধেক অংশের মালিকানা দাবি করে হক মিয়াকে ধান কাটতে নিষেধ করেন। হক মিয়া তার লোকজনসহ দিনমজুর খায়রুল মিয়াকে ওই জমির ধান কেটে দিতে বলেন। কিন্তু বিরোধপুর্ণ জমিতে ধান কাটতে গেলে ঝামেলা হতে পারে-এমন আশংকায় কাজ করতে রাজী হননি তিনি।

গত ৫ মে সকালে খায়রুল ওই ধানের জমির পাশে নিজের গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন। এ সময় শফিকুলসহ তার লোকজন খায়রুলকে ধান কেটে দেওয়ার জন্য ফের চাপ দেন। তিনি রাজি না হলে তাকে পিটেয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মদন থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলাটির ছায়া তদন্তে নামে সিআইডি।