বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী লেখক, ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস হত্যার ৭ বছরপূর্তিতে তাকে স্মরণ করেছেন সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বৃহস্পতিবার নগরের সুবিদবাজারে অনন্ত বিজয় দাসের হত্যাকাণ্ডের স্থানে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে 'সহযাত্রী ও এলাকাবাসী'র ব্যানারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা দ্রুত অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার রায় কার্যকর ও হত্যাকাণ্ডস্থলে স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির দাবি জানান। বক্তারা বলেন, 'বিজ্ঞানযাত্রাকে এগিয়ে নিতে অনন্ত নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার স্মৃতি রক্ষার্থে আমরা একটি স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভের দাবি জানাই।' এর আগে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে উদ্যোক্তা ও ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। এ ছাড়া অনন্ত বিজয় স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবুর পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী, অনন্ত বিজয়ের ভগ্নিপতি অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর, সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী, সম্মিলিত নাট্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, অনন্ত বিজয় দাস হত্যা মামলার বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মনির উদ্দিন, নগরনাট সিলেটের সভাপতি উজ্জ্বল চক্রবর্তী, অরুপ বাউল, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের অন্যতম সংগঠক রাজীব রাসেল, লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব রাসেল, যুব ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দাস খোকন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সরোজ কান্তি, জেলা সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক, ছাত্র কাউন্সিল নগরের সাধারণ সম্পাদক তানজিনা বেগম, বিশিষ্ট আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন, সংস্কৃতি কর্মী রনি দাস প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'আজকের এই দিনে নৃশংসভাবে অনন্ত বিজয়কে মৌলবাদী গোষ্ঠী কুপিয়ে হত্যা করে। তাকে ও অন্যান্য মুক্তমনা লেখকদের হত্যার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল মুক্তমতকে থামিয়ে দেওয়া। তবে তারা সফল হয়নি। আজও মানুষ মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে যাচ্ছে। তবে এখনও আমাদের শিক্ষকরা ক্লাসে বিজ্ঞানের কথা বলে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাই এখানে দাঁড়িয়ে আমরা মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি জানাই।'

২০১৫ সালের ১২ মে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ব্লগার অনন্ত বিজয়কে কুপিয়ে হত্যা করে উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী।