- বাংলাদেশ
- জাদুঘর সমাজের দর্পণ: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
জাদুঘর সমাজের দর্পণ: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংগ্রহ-ভাণ্ডার জাদুঘর সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
তিনি বলেন, ‘জাদুঘরকে বলা হয় গণবিশ্ববিদ্যালয়। দেশি-বিদেশি যেকোন দর্শক জাদুঘরে এসে সরাসরি জ্ঞান আহরণ করেন। একটি দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংগ্রহ-ভাণ্ডার। জাদুঘর আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয় ‘
বুধবার সকালে জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি জাদুঘর দিবসের র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেন।
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি সবমিলিয়ে প্রায় ১৫০টি জাদুঘর রয়েছে। এসব জাদুঘরকে যুগোপযোগী ও আধুনিকীকরণ করতে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের কথাও জানান তিনি।
জাদুঘরের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম জাদুঘরে এসে জানতে পারে তার অতীত ইতিহাস, পূর্বপুরুষদের কীর্তিগাঁথা। সম্ভবত এসব কারণেই হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এক এক করে গড়ে উঠেছে জাদুঘর।’
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এবার জাতীয় জাদুঘর দিবস-২০২২ এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘দ্য পাওয়ার অব মিউজিয়ামস’ বা বাংলায় জাদুঘরের ক্ষমতা।
জাদুঘর দিবসের র্যালিটি জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে পুনরায় জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এর আগে জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
পরে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী অনিমা রায় ও প্রিয়াংকা গোপ।
মন্তব্য করুন