- বাংলাদেশ
- জাল স্ট্যাম্প বিক্রির অভিযোগে হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪
জাল স্ট্যাম্প বিক্রির অভিযোগে হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪

ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর মতিঝিলে ফুটপাতে জাল জুডিশিয়াল ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এবং কোর্ট ফি স্ট্যাম্প বিক্রি করে আসছিল অসাধু চক্র। বৈধ এবং অবৈধ ভেন্ডরদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয় এসব জাল স্ট্যাম্প। গত শুক্রবার এই চক্রের মূল হোতাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) যৌথ আভিযানিক দল মতিঝিল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। শনিবার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কুড়িগ্রামের ফরমান আলী সরকার (৬০) ও আশরাফুল ইসলাম (২৪), গোপালগঞ্জের তুহিন খান (৩২) এবং ডেমরার মো. রাসেল (৪০)। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল জুডিশিয়াল ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, কার্টিজ পেপার ও কোর্ট ফি স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। র্যাব বলছে, ফরমান আলী চক্রটির হোতা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈধ এবং অবৈধ স্ট্যাম্পের মধ্যে পার্থক্য করা খুবই কঠিন। অবৈধ স্ট্যাম্প বিক্রির ফলে সরকার যেমন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি সেবাগ্রহিতাও বিপাকে পড়ছেন। র্যাব-৩ ও এনএসআই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে- মতিঝিলে ফুটপাতে এ ধরনের জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করা হচ্ছে। নিশ্চিত হওয়ার পর সেখানে অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া জাল স্ট্যাম্পের মূল্যমান ১৯ লাখ তিন হাজার ৫২০ টাকা। এ ছাড়া পাঁচ হাজার কার্টিজ পেপারসহ নগদ ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬০ টাকা জব্দ করা হয় তাদের কাছ থেকে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছিলেন।
র্যাব জানিয়েছে, চক্রের হোতা ফরমান আলী সরকার কুড়িগ্রাম সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর ১৯৯৩ সাল থেকে স্ট্যাম্প ভেন্ডর ব্যবসায় নামেন। ২০১৭ সালে জাল স্ট্যাম্পসহ পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। তার বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা রয়েছে। ওই মামলায় জেল খাটেন তিনি। জামিনে বেরিয়ে ফের একই জাল স্ট্যাম্প বিক্রি শুরু করেন। গ্রেপ্তারের সময় তিনি নিজেকে ভেন্ডর পরিচয় দেন। কিন্তু তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া স্ট্যাম্প সম্পর্কে রেজিস্ট্রারপত্রে সঠিক হিসাব দেখাতে পারেননি।
গ্রেপ্তার তুহিন শনির আখড়ায় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছেন। তিনি মতিঝিলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করতেন। ফরমান আলীর সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। গ্রেপ্তারকৃত আশরাফুল এইচএসসি পাস। দুই বছর ধরে ফরমান আলীর সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন। আর গ্রেপ্তার রালেস এসএসসি পাস করে জালিয়াতি কার্যক্রমে নামেন। জাল স্ট্যাম্প ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি করতেন তিনি।
মন্তব্য করুন