পদবি বৈষম্য দূর করা, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, বৈষম্যমুক্ত নবম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণাসহ ১১-২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন ঐক্য ফোরাম। এ সময় দাবি আদায়ে আগামী ৩ জুন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঐক্য ফোরামের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী। বিভিন্ন পর্যায়ের বৈষম্য ও অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. হেদায়েত হোসেন। এ সময় ছয় সদস্যের পরিবারের ব্যয় বিবেচনায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা ও নবম জাতীয় পে-কমিশন গঠনসহ ৭ দফা দাবি জানানো হয়। ওয়ারেছ আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, সিনিয়র সচিব থেকে শুরু করে ২০তম গ্রেডে কর্মরত সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। কিন্তু অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন, ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম, বাংলাদেশ ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতি (সাবেক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি), বাংলাদেশ সরকারি গাড়িচালক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (তোতা-গাজী), বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাসেম-শাহীন), বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ (আনিস-রবিউল), বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ (শাহীনুর-আল আমিন), বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল শ্রমিক কর্মচারী সংগঠন ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের নেতাসহ বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।