কুমিল্লা নগরীতে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান জিলানী, ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ও ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন হত্যা মামলার চার আসামি এ বছর কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। তিনটি হত্যা মামলার মধ্যে জিলানী ও দেলোয়ার হত্যা মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং আক্তার হোসেন হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। এসব মামলার মধ্যে জিলানী হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি আবুল হাসান ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে, ২ নম্বর আসামি আবদুস সাত্তার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন। সাত্তারের নাম দেলোয়ার হত্যা মামলার এজাহারেও রয়েছে। এ ছাড়া জিলানী হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি খলিলুর রহমান মজুমদার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি আলমগীর হোসেন প্রার্থী হয়েছেন। এই ৪ কাউন্সিলর প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় মামলার এসব তথ্য দিয়েছেন।

জিলানী ও দেলোয়ার হত্যা মামলায় আসামি তিন কাউন্সিলর প্রার্থী :জিলানী হত্যা মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানকে। তিনি এবার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী। এ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকা আবুল হাসান ২০২১ সালের ১৫ মার্চ আদালতে হাজির হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একই হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আবদুস সাত্তার প্রার্থী হয়েছেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন হত্যা মামলারও আসামি। ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। জিলানী হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের সভাপতি খলিলুর রহমান মজুমদার। তিনি প্রার্থী হয়েছেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁকেও এ মামলায় কারাবরণ করতে হয়েছে। থানা পুলিশের পর ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে জিলানী হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।

আক্তার হোসেন হত্যা মামলার আসামিও প্রার্থী :২০২০ সালের ১০ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর কোটবাড়ী সড়কের চাঙ্গিনী মোড় এলাকায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে আক্তার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় কুসিকের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর এবং এ বছর কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন, তাঁর ৫ ভাইসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী রেখা বেগম। ঘটনার দিনই আলমগীরের ৩ ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আলমগীর হোসেন আদালতে হাজির হলে তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।