- বাংলাদেশ
- সড়ক দুর্ঘটনা আমার বিসিএস ও সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ নষ্ট করে দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সড়ক দুর্ঘটনা আমার বিসিএস ও সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ নষ্ট করে দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিরাপদ সড়ক চাই-এর মহাসমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
সড়ক দুর্ঘটনার কারণে একজন মানুষের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে যায় মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তরুণ অবস্থায় আমি একবার সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও আর্মি একাডেমিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় তিন মাস হাসপাতালে ছিলাম। সড়ক দুর্ঘটনা আমার বিসিএস ও সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া—দুটো সুযোগ নষ্ট করে দিয়েছে। শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক চাই-এর (নিসচা) নবম মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কমবেশি সবাই দায়ী। দুর্ঘটনার জন্য অনেকে পরিবহন শ্রমিকদের দিকে আঙুল তোলেন। কিন্তু পথচারীরা ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হন। নিজেদের বদলাতে হবে। সরকার বাধা দিলে তবেই আইন মানবেন, এটা হবে না। আইন মানার একটা রেওয়াজ চালু করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, একটা শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয়। কিন্তু ঢাকায় সাড়ে ৯ শতাংশের মতো আছে। রাস্তায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও নেই, তারপরও অনেকে গাড়ি রেখে দেন। তখন অন্যান্য গাড়ি নির্দিষ্ট গতিতে চলতে পারে না। এখনো ট্রাকচালকদের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা দেওয়া হয়নি। পরিবহনমালিকেরা তাদের গাড়ি চালানোর সময়সীমা বেঁধে দিতে পারেননি। তিনি বলেন, সড়ক ও মহাসড়ক কেমন হবে, তার নকশা করে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ৫৪ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছর। তাদের সিটবেল্ট বাঁধারও সময়ও নেই। চালকের পাশের আরোহী তো সিটবেল্ট বাঁধেনই না।
যারা দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালান তাদের অধিকাংশের বয়স ৪০ বছরের কম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নিজের জীবনকে নিয়ে কেন ছিনিমিনি খেলেন?
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি নামাবেন না। সরকার এখানে অনেক কঠোর হচ্ছে। অনেক কিছুই করা যাচ্ছে না। ধীরে ধীরে সবই করা হবে। পুরো ঢাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এরপর চট্টগ্রাম ও রাজশাহীও সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে।
পদ্মা সেতুর কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকে অনেক কথা বলেন। কিন্তু কাজ করে দেখানোই মূলকথা। প্রধানমন্ত্রী সেটাই করছেন। পদ্মা সেতু চালু হলে কখন গোপালগঞ্জ পেরিয়ে খুলনা-বরিশাল চলে যাবেন, টেরও পাবেন না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিসচার ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসান-উল হক কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সংগঠনের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. রফিকুজ্জামান, কানিজ ফাতেমা মঞ্জুলি কাজী, যুগ্ম-মহাসচিব লিটন এরশাদ, লায়ন গণি মিয়া বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও শাখা কমিটির সহস্রাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন