শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সেই ছাত্রলীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন কাজলকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

সোমবার বিকেলে হল প্রাধ্যক্ষ ড. শামীম হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

একইসঙ্গে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে ড. আমিরুল ইসলাম কনককে। সদস্য হিসেবে আছেন ড. মেজবাউস সালেহীন ও ড. আলী আহম্মদ সৈয়দ মোস্তফা জাহিদ।

রোববার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের টিভি রুমে ভুক্তভোগী বিডি মর্নিং-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শাহাবুদ্দিনকে মারধর করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম গিয়াস উদ্দিন কাজল। তিনি বখশ হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং ইতিহাস বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। কাজল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হলের টিভি রুমে সংবাদকর্মী শাহাবুদ্দিন ইসলামসহ অনেকে আইপিএল খেলা দেখছিলেন। এসময় ছাত্রলীগের কাজল ধূমপান করছিল। তখন শাহাবুদ্দিন তাকে ধূমপান করতে নিষেধ করলে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কাজলসহ কয়েকজন শাহাবুদ্দিনকে মারধর শুরু করে। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

অবস্থানকালে ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরা ছাত্রলীগ নেতা কাজল ও তার সহযোগীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, দায়িত্বে অবহেলার কারণে হল প্রাধ্যক্ষের অব্যাহতি, হলে ছাত্রলীগের দখলদারিত্ব বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।