চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবং বিস্ফোরণের খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বসহ প্রকাশিত হয়েছে। 

বিবিসি, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা, ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, বার্তা সংস্থা রয়টার্স, এএফপি, এপি বাংলাদেশের এই দুর্ঘটনার খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে। 

বিবিসি অনলাইনের মূল্য প্রচ্ছদে থাকা সংবাদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবং বিস্ফোরণে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া কয়েকশ’ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে বলা হয়েছে। 

সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ নিয়ে বিবিসি অনলাইনে  প্রকাশিত সংবাদের একপি স্ক্রিনশট

বিবিসি বলেছে, ডিপোতে থাকা কয়েকটি কনটেইনারে রাসায়নিক পদার্থ ছিল। বাংলাদেশে শিল্পকারখানায় অগ্নিকাণ্ড সাধারণ একটি ব্যাপার। আর এই জন্য দুর্বল নিরাপত্তা নিয়ম-নীতিকে দায়ী করা হয়। ঘটনাস্থলের আশপাশের হাসপাতালগুলো আহত লোকজনে উপচে পড়ছে এবং লোকজন চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছে। চিকিৎসকরা রক্ত দিতে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং আহতদের চিকিৎসায় সামরিক হাসপাতালগুলো সাহায্য করছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে একটি কনটেইনার ডিপোতে আগুন থেকে বিশাল এক রাসায়নিক বিস্ফোরণে অন্তত ৪৯ জন নিহত এবং তিন শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছে, ডিপোর ভেতরে আরও মরদেহ রয়েছে। 

সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ নিয়ে সিএনএনে প্রকাশিত সংবাদের একটি স্ক্রিনশট

শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের এই ডিপোতে আগুন লাগে যেখানে প্রায় চার হাজার কনটেইনার ছিল। এসব কনটেইনারের অধিকাংশগুলোতেই পাশ্চাত্যমুখী গার্মেন্টস পণ্য ছিল। কনটেইনার ডিপোটি চট্টগ্রামের দক্ষিণাংশের প্রধান বন্দর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ডিপোতে আগুন লাগার পর রাসায়নিক পদার্থ থাকা কনটেইনার বিস্ফোরিত হয়। এ ছাড়া বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিস কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী, সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যও অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। 

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ইলিয়াস চৌধুরী এএফপিকে বলেছেন, এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৪৯ জন। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

বাসসের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, বাংলাদেশের কনটেইনার ডিপোতে আগুন এবং বিস্ফোরণে অন্তত ৩৭ জন নিহত এবং তিন শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কজনক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডিপোর ভেতরে আরও মরদেহ রয়েছে। 

সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ নিয়ে দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত সংবাদের একটি স্ক্রিনশট

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি কনটেইনার ডিপোতে  বিশাল অগ্নিকাণ্ড এবং বিস্ফোরণে অন্তত  ৪৯ জন নিহত এবং তিন শতাধিক আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দূরে সীতাকুণ্ডে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। পরে আগুন থেকে বেশ কয়েকবার বিস্ফোরণ ঘটে। আল-জাজিরাও ইলিয়াস চৌধুরীর বরাতে বলেছে, আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কজনক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

একই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করেছে এপি, দ্য গার্ডিয়ান, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস, গালফ নিউজ, ফ্রান্সের ফ্রান্স২৪, পাকিস্তানের ডন, দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, রাশিয়ান বার্তা সংস্থা তাসসহ আন্তর্জাতিক আরও অনেক সংবাদমাধ্যম।