- বাংলাদেশ
- সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: দায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচার চায় বাম জোট
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: দায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচার চায় বাম জোট

সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলে বাম জোটের নেতারা। ছবি-সংগৃহীত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
নেতারা বলেছেন, এই বিস্ফোরণের ঘটনায় মানুষ নিহত হওয়া অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড। অথচ এর জন্য দায়ীদের এখনও গ্রেপ্তার না করাটা বিস্ময়কর ও উদ্বেগজনক।
সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলসহ নিহতের পরিবার ও আহতদের দেখতে চট্টগ্রাম হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম বাম জোটের নেতা শফিউদ্দিন কবির আবিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. হারুন উর রশীদ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল আলী, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্ক্সবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা বিধান দাস, চট্টগ্রাম বাম জোটের নেতা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মহিনুদ্দিন মইন, জাহীদুন্নবী কনক, নূরুচ্ছফা ভূঁইয়া প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে নেতারা বলেন, আমরা গভীর শোক ও তীব্র ক্ষোভ নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছি। এখানে সরকারের ব্যর্থতা দেখছি। দেখছি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সাধারণ মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া। ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের ওই টিমে রাখতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসা, যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন এবং নিহতদের আজীবন কাজের সমান ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের পুনর্বাসন করতে হবে।
নেতারা বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোর মালিকপক্ষসহ অনেকে এখন নাশকতার গল্প ফাঁদতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এটা হলো চালাকি। এদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অতীতে এধরনের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার না হওয়ায় ঘটনা ঘটেই চলেছে। সব অন্যায়-অনিয়ম ও অনাচারের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতারা।
সমাবেশের আগে বাম জোটের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় স্থানীয় জনসাধারণ ও ফায়ার ব্রিগেডের সদস্য এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে চট্টগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
মন্তব্য করুন