কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার ছাড়া দাফনের ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোরশেদা খাতুন। 

লিখিত আবেদনে তিনি বলেছেন, অনিচ্ছাকৃত ও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এ ভুল হয়েছে। এ জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।

হাইকোর্টের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেনের দাখিল করা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির সমন্বয়েবগঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। 

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার ছাড়া দাফনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। জনপ্রশাসন সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জামুকা চেয়ারম্যানকে এই কমিটি গঠন করতে বলা হয়।

গত ২৮ জানুয়ারি রাতে বাজিতপুর পৌরসভার দক্ষিণ রাবারকান্দির বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদার মারা যান। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর পুলিশ উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এজন্য মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দিতে পারেননি। 

পরে ২৯ জানুয়ারি শনিবার বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয় রাবারকান্দি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন। 

পরে হাইকোর্ট তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন, যার ধারাবাহিকতায় গতকাল এ বিষয়টি ফের শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।

বিষয় : বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদার গার্ড অব অনার ইউএনও মোরশেদা খাতুন

মন্তব্য করুন