- বাংলাদেশ
- গায়েবি প্রকল্প দেখিয়ে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ
গায়েবি প্রকল্প দেখিয়ে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ
বগুড়ায় সাবেক পিআইওর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকল্প শুধু কাগজে-কলমেই আছে, বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন গায়েবি ২৯৫টি প্রকল্প দেখিয়ে ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে এ মামলা করেন।
২৮০টি প্রকল্পের মধ্যে ২৭৮টির ও অন্য ২০০টি প্রকল্পের মধ্যে ১৯৬টির অস্তিত্ব রয়েছে এবং সেগুলোর কাজ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন জানিয়ে একই বছরের ২৪ জুন ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন পিআইও আব্দুল আলীম। তাঁর প্রতিবেদনের আলোকে তৎকালীন ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান ২৭৮ প্রকল্পের বিপরীতে ২ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার ৩৪৭ টাকা ও অপর ১৯৮ প্রকল্পের বিপরীতে ১ কোটি ৫৩ লাখ ২৭ হাজার ৭২৭ টাকা ছাড়করণের জন্য পরদিন জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেন।
এর পরের দিন জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মোট ৪৭৪টি প্রকল্পের বিপরীতে ৩ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫ টাকার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরে প্রকল্পগুলোর কাজ বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হয়েছে জানিয়ে একটি চিঠিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে জানানো হয়।
দুদকের মামলায় বলা হয়, প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়, ওই অর্থবছরে ২৯৫ ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কতিপয় ব্যক্তির যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
দুদক বগুড়ার উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, দুর্নীতিতে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা অনুসন্ধান করলেই বেরিয়ে আসবে।
অভিযুক্ত আব্দুল আলীমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। ওই সময় গাবতলী উপজেলার ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে উদ্বৃত্ত কর্মচারী শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, পিআইওর দেওয়া প্রতিবেদনের আলোকে প্রকল্পগুলোর অর্থ ছাড়ের নোটে প্রতি স্বাক্ষর করেছি মাত্র। এ ছাড়া কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন করে সেগুলোতে অনিয়ম চোখে পড়েনি।
মন্তব্য করুন