সদ্যমৃত কোনো মানুষের দেহ থেকে কিডনি, হৃদপিন্ড, অন্ত্র, অগ্ন্যাশয় প্রতিস্থাপনের (ক্যাডভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট) মাধ্যমে বহু মরণাপন্ন মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। 

সোমবার বিএসএমএমইউয়ে শহীদ ডা. মিলন হলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন বিষয়ক জাতীয় ক্যাডাভেরিক কমিটির গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ক্যাডাভেরিক কমিটির সেল।

অধ্যাপক ডা.শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্রেইন ডেথ ১ জন রোগী থেকে ৮ জনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টটি অন্যান্য ট্রান্সপ্লান্ট থেকে সহজ। একজন ব্রেইন ডেথ রোগী ২টি কিডনি ২ জনকে, ১ টি লিভার ১ জনকে, ২টি লাঞ্চ ২ জনকে, হৃদযন্ত্র ১ জনকে, অন্ত্র  ১ জনকে, অগ্ন্যাশয়কে ১  জনকে দান করে জীবন বাঁচাতে পারেন।

তিনি বলেন, ক্যাডাভেরিক একটি মহৎ কার্যক্রম। এ কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এ কার্যক্রম সফল করতে রোগীর পরিবারের সদস্যেদের যেমন সহায়তা প্রয়োজন তেমনি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দানের উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৬ মাসের মধ্যে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট পুনরায় শুরু হবে। আমরা এ বছরের মধ্যেই ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট বাস্তবায়ন করতে চাই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডাভেরিক সেলের প্রধান ও প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো: হাবিবুর রহমান দুলালের সভাপতিত্বে বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যানেসথেসিয়া অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. মো. আশরাফুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন ইরোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কার্তিক চন্দ্র ঘোষ।

এসময় অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট সোসাইটির সভাপতি কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ইসতিয়াক আহমেদ শামীম, অধ্যাপক ডা. এ কে এম খুরশিদ আলম, অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মো. সাইফুল হোসেন (দিপু), সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।