বাংলাদেশ রেলওয়েতে ২২ হাজার ৭০৪টি শূণ্যপদ রয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। 

সোমবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

একই প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, রেলওয়ের মোট শূণ্য পদের সংখ্যা ২২ হাজার ৭০৪টি। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ২০১টি, দ্বিতীয় শ্রেণির এক হাজার ৬০১টি, তৃতীয় শ্রেণির আট হাজার ৫৭৫টি এবং চতুর্থ শ্রেণির ১২ হাজার ৩২৭টি।

মন্ত্রী জানান, এসব শূণ্য পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১৪টি ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৫৫৪টি পদের চাহিদা ইতোমধ্যে পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সাত হাজার ৩৫১টি পদের ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির ৪৪১টি এবং চতুর্থ শ্রেণির দুই হাজার ৮১২টিসহ তিন হাজার ২৫৩টি পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আগামী ১৭ জুন এএলএম গ্রেড-২ ও গার্ড গ্রেড ২ পদের নিয়োগ পরীক্ষা হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানান, রেলওয়ের অব্যবহৃত বা পতিত জমির পরিমাণ দশ হাজার ৮৪৩ দশমিক ১৫ হেক্টর। এই পতিত জমিগুলো ফেন্সিংয়ের (বেড়া) আওতায় এনে দখলে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

রেলওয়ের পতিত জমি এবং আবাসিক এলাকায় খালি জায়গা কিছুটা অবৈধ দখলে রয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। প্রতিমাসেই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও মন্ত্রী জানান।

ড্রাইভিং লাইসেন্সে ডোপটেস্ট

বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে ৩০ জানুয়ারি ২০২২ থেকে আবেদন পত্রের সাথে ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডোপটেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ হলে বা বিরূপ মন্তব্য থাকলে লাইসেন্স নবায়ন বা ইস্যু করা হচ্ছে না।

সরকারি দলের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ পর্যন্ত (মে ২০২২) বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়ের পরিমাণ সাত হাজার ১৩৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ও মুক্তারপুর সেতুর টোল আদায় ১৮৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট স্টাডি (ডিএইচইউটিএস) প্রতিবেদন (২০১০) মতে ঢাকার দুই সিটির অধিভুক্ত এরিয়াতে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ রাস্তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ঢাকা মহানগরীর চারপাশে বৃত্তাকার সুসমন্বিত মহাসড়ক ইনার রিং রোড নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।