- বাংলাদেশ
- দুই বছরে লেবুজাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে ১৮ শতাংশ
দুই বছরে লেবুজাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে ১৮ শতাংশ
২০২৪ সাল থেকে বছরে ৪০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে

কর্মশালায় সংশ্লিষ্টরা
দেশে দুই বছরের ব্যবধানে লেবুজাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে ১৮ শতাংশেরও বেশি। আর এই সময়ে উৎপাদন বেড়েছে ৪ শতাংশ। মাল্টা, কমলা লেবু, লেবু ও বাতাবি লেবুসহ এ জাতীয় ফলের আবাদ ও উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সাল থেকে বছরে ৪০ হাজার টন ফলন পাওয়া যাবে। আর এতে অন্তত ৪০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। তাই সারাদেশে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুজাতীয় এসব ফসলের চাষ আরও বাড়াতে হবে।
রোববার রাজধানীতে একটি জাতীয় কর্মশালায় কৃষিবিদরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
তারা বলছেন, লেবু, মাল্টা, কমলা এ জাতীয় ফসল দেহের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা গত করোনা মহামারিকালে প্রমাণিত হয়েছে। ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য ওই সময়ে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু-মাল্টার চাহিদা অনেক বেড়েছিল। যা এখনও অব্যাহত আছে।
কৃষিবিদরা বলছেন, দেশে এই লেবুজাতীয় ফসল চাষের উপযোগী ১১ ভাগ জমির মধ্যে চাষ হচ্ছে মাত্র ৪ ভাগ। আর তাও কেবল সীমান্ত এবং পার্বত্য এলাকায়। উৎপাদিত লেবু ও সবুজ রংয়ের মাল্টা অত্যন্ত সুস্বাদু। এর চাষ বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এবং মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের আরও উদ্যোগী ও পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দেন তারা। প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে লেবুজাতীয় ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাজধানীর খামারবাড়িতে আ কা মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে এ কর্মশালার আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) ‘লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প’। ডিএইর মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. বেনজীর আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ মো. সায়েদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পদোন্নতিপ্রাপ্ত সচিব) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান ও পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং) আবদুল মাজেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং প্রকল্পের অর্জন ও সম্ভাবনা বিষয়ে উপস্থাপনা করেন লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের পরিচালক ড. ফারুক আহমদ।
মন্তব্য করুন