- বাংলাদেশ
- পদ্মা সেতুতে ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের দাবি জাতীয় কমিটির
পদ্মা সেতুতে ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের দাবি জাতীয় কমিটির

পদ্মা সেতুতে আসন্ন ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
দুর্ঘটনা রোধ ও নিরবিচ্ছিন্ন যান চলাচলের স্বার্থে ঈদুল আজহার আগে ও পরে মিলিয়ে কমপক্ষে ২০ দিন এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
তারা বলেন, সাম্প্রতিককালে মোটরসাইকেলে যাতায়াতকারীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনাও আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে চলেছে। গত ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ৪২ শতাংশই এই ক্ষুদ্রযানের চালক ও আরোহী ছিলেন। এছাড়া গত এপ্রিল ও মে মাসে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় মোট নিহতের মধ্যে মোটর সাইকেল চালক ও আরোহীর হার ছিল যথাক্রমে ৪৪ ও ৪১ শতাংশ; যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
নেতারা বলেন, মোটরসাইকেলের বাণিজ্যিক ব্যবহারও দিন দিন বাড়ছে। গত ঈদুল ফিতরে অগণিত ঘরমুখী মানুষ দুই চাকার এই বাহনে যাতায়াত করেছে এবং বিপজ্জনক বাহনটি কার্যত গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সড়কপথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ২১ জেলার মানুষের যাতায়াত অনেক বেড়ে যাবে এবং আসন্ন ঈদুল আজহায় এই চাপ কয়েকগুণ বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে মোটর সাইকেলের দৌরাত্ম্যও। এছাড়া ঈদের ছুটিতে হাজার হাজার মানুষ পদ্মা সেতু দেখতে আসবেন; মোটরবাইকে চড়ে সেতুর এপার-ওপার যাতায়াত করবেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, পদ্মা সেতুর টোল আদায় প্রক্রিয়া (টিসিএস) আগামী ছয়মাসের আগে শতভাগ অটোমেশন পদ্ধতির আওতায় আসছে না। যেসব টোল প্লাজায় ম্যানুয়ালি টোল আদায় করা হবে, সেখানে যানবাহনের গতি রোধ হবে। এই অবস্থায় হাজার হাজার মোটরবাইক চলাচল করলে টোল প্লাজাগুলোতে যানবাহনের বাড়তি সময় ব্যয় ও সেতুর দুপাড়ে গাড়ির জট সৃষ্টি হতে পারে। চালকরা এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সেতু পার হয়েই বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাবেন। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কাও অনেক বেড়ে যাবে।
মন্তব্য করুন