- বাংলাদেশ
- মুসলিমদের টার্গেট করেছে মোদি সরকার: অ্যামনেস্টি
মুসলিমদের টার্গেট করেছে মোদি সরকার: অ্যামনেস্টি

ছবি: আনন্দবাজার
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই মুখপাত্রের মহানবী (সা.) কে নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্যে দেশটির মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। তারা ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভও করে। কিন্তু বিক্ষোভে নিপীড়নের অভিযোগ উঠে। এবার এই পরিপ্রেক্ষিতে কড়া বিবৃতি দিয়েছে মানবাধিকার-বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি ভারত সরকারকে মুসলিমদের টার্গেট না করার আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মার (বর্তমানে বহিষ্কৃত) বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আরব বিশ্বে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। একাধিক দেশ ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বিজেপি মুখপাত্রের মন্তব্যের বিরোধিতা করে। পশ্চিম এশিয়ার একাধিক বাণিজ্যিক স্থলে ভারতীয় পণ্য বয়কট করা হয়। খবর আনন্দবাজারের।
ওই মন্তব্যের জেরে বিরোধিতা, বিক্ষোভ শুরু হয় দেশের মধ্যেও। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো সেই বিক্ষোভ দমনে ‘অতিরিক্ত কড়া’ পদক্ষেপ গ্রহণ করে বলে অভিযোগ উঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতি দিলো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিক্ষোভ দমনে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যেন অবিলম্বে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত হয়।
বিক্ষোভ দমনের কঠোরতায় দেশে এক শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেছে অ্যামনেস্টি। সংস্থাটি বলেছে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে যারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাদের যে কায়দায় আইনশৃঙ্খলার জন্য ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে তা গভীর উদ্বেগের বিষয়। একইসঙ্গে মুসলিমদের নিশানা করে সরকার ক্রমাগত যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তাও চিন্তার বিষয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারত সরকার প্রতিশোধমূলক ভাবে বেছে বেছে সেই সমস্ত মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে যারা মুখ খোলার স্পর্ধা দেখাচ্ছেন বা শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের ওপর হওয়া বিদ্বেষের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
The Government of India is selectively and viciously cracking down on Muslims who dare to speak up and peacefully express their dissent against the discrimination faced by them.
— Amnesty International (@amnesty) June 14, 2022
এ বিষয়ে এখনও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে ভারতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। দুর্নীতির অভিযোগে ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)’ সংস্থাটির সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেয়। প্রশ্ন তোলা হয় সংস্থায় গৃহীত বিদেশি অনুদানের স্বচ্ছতা নিয়েও। এর পরই ভারতে সমস্ত শাখা বন্ধ করে দেশত্যাগ করে অ্যামনেস্টি।
মন্তব্য করুন