- বাংলাদেশ
- হাঙ্গর-শাপলাপাতা বিলুপ্তি বন্ধে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে জেলেদের: পরিবেশমন্ত্রী
হাঙ্গর-শাপলাপাতা বিলুপ্তি বন্ধে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে জেলেদের: পরিবেশমন্ত্রী

বঙ্গোপসাগরে ১০০টিরও বেশি প্রজাতির হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ বিলুপ্তির হুমকিতে থাকায় এবার জেলেদের নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভাবছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের সুস্থ পরিবেশ টিকিয়ে রাখতে হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘দেশের সমুদ্রে ১০০টিরও বেশি প্রজাতির হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ বিলুপ্ত হওয়ার হুমকির সম্মুখীন। এই দুটি মাছকে চিরতরে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে অতিরিক্ত পরিমাণে ধরা বন্ধ করতে হবে। ’
তিনি বলেন, হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ রক্ষা করা গেলে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র এবং জীববৈচিত্র্য জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
রোববার হোটেল রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে বাংলাদেশের হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রণীত খসড়া জাতীয় কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা এবং নন ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস চূড়ান্ত করতে জাতীয় পরামর্শ সভার আয়োজন করে বন অধিদপ্তর।
এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের যে সকল প্রজাতি বিলুপ্তির উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সেগুলো আমাদের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এ কঠোরভাবে সুরক্ষিত। সমস্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় এসকল প্রজাতি সংরক্ষণে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিপন্ন প্রজাতির হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে জাতীয় সংরক্ষণ কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা এবং নন ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস তৈরি করা হয়েছে। এ কর্মপরিকল্পনা হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ, উপকূলীয় সম্প্রদায়কে টেকসই ও উৎপাদনশীল মৎস্য জীবিকা নিশ্চিতে এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের অর্থায়নে ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কারিগরি সহায়তায় প্রণীত এ কর্মপরিকল্পনা সরকারি সংস্থা, স্থানীয় সম্প্রদায়, এনজিও, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি উদ্যোগের জন্য নির্দেশিকা হিসাবে কাজ করবে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ১ হাজার ৭৩৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া এবং ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে সেন্টমার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া নামক ২টি ঘোষিত সামুদ্রিক রক্ষিত এলাকা হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক এবং সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায় প্রমুখ। ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির সিনিয়র ম্যানেজার মেরিন এলিজাবেথ ফারনি মনসুর কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন।
মন্তব্য করুন