দেশে আবার দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত এক দিনে ৫৯৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা ১৫ সপ্তাহের সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ৪ মার্চ এক দিনে ৬০৪ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রমণের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে এসেছিল। সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ৫৯৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

তাদের মধ্যে ৫৫৪ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে ময়মনসিংহ বিভাগে একজন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৫, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন, রংপুর বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে ৩ জন এবং বরিশাল বিভাগে ১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা আগের দিন ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩২৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৪৯ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৮০৭ জন সেরে উঠলেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।