মিনারুল ইসলাম ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, থাকেন কামরাঙ্গীরচরে। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসবে যোগ দিতে ছুটে চলেছেন পদ্মার দক্ষিণপাড় শিবচরে। মিনারুলের সঙ্গে তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ১৩ বছরের মিথিলা সুলতানা মিতু রয়েছে। এই বাবা-মেয়ে আনন্দে পথে পথে চকলেটও বিলি করছে সুসজ্জিত নৌকা থেকে।

শুক্রবার দুপুরে শিমুলিয়ার ৩ নম্বর ফেরিঘাটে তাদের সঙ্গে কথা হয়। পন্টুন থেকে তখন দেখা যাচ্ছিল বাঙালির গৌরব আর সাহসের প্রতীক পদ্মা সেতু।

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মিথিলা বলছিল, এই সেতু তাদের জন্য বড় পাওয়া, জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা এটি তৈরি করে বিশ্বে আমাদের মর্যাদা বাড়িয়েছেন। তাই এর উদ্বোধনের দিন মানুষকে সুসজ্জিত নৌকায় আনন্দ দিতে বাবার সাথে সেও যাচ্ছে উৎসব অনুষ্ঠানে।

মিথিলার বাবা মিনারুল বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি নৌকাটি তৈরি করেছিলেন। দেশের ৬৪ জেলায় ঘুরবেন। ছুটি নিয়ে এরই মধ্যে ২৫ জেলা ভ্রমণ শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, এরমমধ্যেই তার বড় সুযোগ এসে গেল। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনে সেই নৌকা নিয়েই যাচ্ছেন। ইতিহাসের স্বাক্ষী করতে এবার মেয়েকেও সাথে নিচ্ছেন। সম্ভব হলে রোববার পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় ফিরবেন।

তিনি বলেন, ঢাকার বাসিন্দা হওয়ায় পদ্মা সেতু তার সরাসরি কাজে লাগবে না। তবে দেশের মানুষের, দেশের অর্থনীতিতে এই সেতু কাজে লাগবে। তা ছাড়া বিশ্ব ব্যাংকসহ অনেকের বিরোধিতা, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী সেতু তৈরি করেছেন। এজন্য বাঙালি হিসেবে আনন্দটা আমারও। সেই আনন্দে মানুষকে পথে পথে মিষ্টি বিলি করার চিন্তা করছিলেন। টাকায় না কুলানোয় এখন চকলেট বিলি করছেন।


মিনারুলের নৌকায় মোটর সংযোজন করা হয়েছে, আছে চাকাও। সেই চাকায় চড়ে বাবা-মেয়ে ফেরিতে চড়ে যাচ্ছেন শিবচর।