- বাংলাদেশ
- বগুড়া ছাত্রলীগকে 'বাঁচাতে' ফেসবুকে পদপ্রত্যাশীর পোস্ট
বিলুপ্তির পর পাঁচ মাসেও কমিটি হয়নি
বগুড়া ছাত্রলীগকে 'বাঁচাতে' ফেসবুকে পদপ্রত্যাশীর পোস্ট

বিলুপ্ত করার পাঁচ মাস পরও বগুড়ায় জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা না করায় সৃষ্ট ক্ষোভ এবং অসন্তোষের কথা এবার ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়েছেন নেতৃত্ব প্রত্যাশী এক নেতা। মুকুল ইসলাম নামে জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির ওই নেতা রোববার দুপুরে নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে 'সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ' শিরোনামে লেখা পোস্টে ছাত্রলীগকে অচলাবস্থা থেকে 'বাঁচানোর' আকুতিও জানিয়েছেন।
সংগঠনটির একাধিক সূত্র জানায়, বগুড়ায় ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে পদ-পদবি পেতে যে ৫৬ জন এর আগে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে তাঁদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন তাঁদের প্রায় সকলেই মুকুল ইসলামের বক্তব্যের সঙ্গে একমত।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি বগুড়ায় ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এরপর নতুন কমিটি গঠনের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন সদস্যের একটি টিম গত ২ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় গিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ৫৬ জনের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে। ওই টিমের সদস্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ ইমাম বাকের সে সময় বলেছিলেন, জীবনবৃত্তান্তগুলো যাচাই-বাছাই শেষে খুব শিগগির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বগুড়ায় ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে 'নিজের পছন্দের লোক' বসাতে কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের অন্তত ৪ নেতা নেতা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। মূলত তাঁদের চাপের কারণেই ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া ঝুলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা এর আগে ঢাকায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না।
বগুড়ায় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী একাধিক নেতা জানিয়েছেন, নতুন কমিটি গঠন বিলম্বিত হওয়ায় সংগঠনের অভ্যন্তরে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে বগুড়ায় উপজেলা, পৌরসভা, কলেজসহ মোট যে ১৯টি ইউনিট রয়েছে তার মধ্যে মাত্র ৫টি যথা- বগুড়া পৌর কমিটি, দুপচাঁচিয়া উপজেলা, সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ, সরকারি নাজির আকতার কলেজ এবং সরকারি সান্তাহার ডিগ্রি কলেজে নতুন কমিটি হয়েছে। অবশ্য এগুলোতে এতদিনেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।
ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার বিষয়ে মুকুল ইসলাম বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২৯ বছর বয়সের পর আর ছাত্রলীগ করা যায় না। আমরা যারা নেতৃত্ব প্রত্যাশী তাদের ঊনত্রিশ বছর পূর্ণ হতে আর মাত্র ২-৩ মাস রয়েছে। এটা নিয়ে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ক্ষুুব্ধ। তাঁদের ক্ষোভের কথা জানান দিতেই আমি বিষয়গুলো প্রকাশ্যে এনেছি।
বগুড়ায় ছাত্রলীগের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ ইমাম বাকের অবশ্য স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের আন্তরিকতা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, 'গত ৮ বছর কেন তারা কমিটি ভেঙে দেয়নি। তাহলে তো অনেকে নেতৃত্ব গ্রহণ করতে পারতেন। নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের বয়সসীমা শেষ হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, আমরা যেদিন জীবনবৃত্তান্ত নিয়েছি সেদিন থেকে বয়স গণনা হবে। অতএব বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে হতাশার কিছু নেই।
মন্তব্য করুন