আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে ৪ হাজার ৪০৭টি গবাদি পশুর হাট বসবে। তবে সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস বাড়তে থাকায় এসব হাটে প্রবেশের সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো ক্রেতা-বিক্রেতা প্রবেশ করতে পারবেন না। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। পশুর হাটের টাকা পুলিশের সহযোগিতায় বহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

বুধবার সচিবালয়ে আসন্ন ঈদুল আজহা এবং শিল্পাঞ্চলের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০টি ও দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) ১২টিসহ সারাদেশে ৪ হাজার ৪০৭টি পশুর হাট বসবে। মহাসড়ক ও সড়কে কোনো পশুর হাট বসানো যাবে না।

তিনি বলেন, এ বছর ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে বাইনোকুলার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, পকেটমারসহ অন্য দুস্কৃতকারীদের নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী আরও জানান, বাস, লঞ্চ, ট্রেন ও ফেরিঘাট ছাড়াও পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত করতে সারাদেশে হাইওয়ে পুলিশের ১০৯টি টহল দল, ৮৪টি কুইক রেসপন্স দলসহ ওয়াচ টাওয়ার, রেকার ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে।

তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে মহানগর, জেলা ও উপজেলার হাটবাজারে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হবে। কোনো পশুবাহী নৌযান বা ট্রাককে জোর করে নির্দিষ্ট স্থানে বা হাটে যেতে বাধ্য করা যাবে না।

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৪৫ হাজার মাঠে বা ময়দানে এবং ৫০ হাজারের মতো মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সরকারের জারি করা স্বাস্থ্য নির্দেশিকা পালন করতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এপপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে সরকারকে আশ্বস্ত করেছে। পোশাক শ্রমিকদের ঈদের ছুটি পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। তবে কোন তারিখ থেকে ছুটি দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করা হয়নি।