ভেসে যাওয়া প্রথম টি-২০’র আগে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স বলেছিলেন, ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিং করে প্রচুর রান করায় মনোযোগ না দিয়ে ভালো ব্যাটিং শেখা দরকার। সেটা করতে পারলেই বোলাররা রান আটকাতে পারবে। 

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে বোলাররা ১৯৩ রান দিয়েছেন। পেস-স্পিন কোন বিভাগেই সুবিধা করতে পারেননি। তবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ মনে করছেন, একদিন খারাপ গেলেই বোলিং আক্রমণ খারাপ হয়ে যায় না। তিনিও বিশ্বাস করেন, নিয়মিত ১৬০-১৭০ রান বোলারদের দিতে পারলে তারা ম্যাচ জেতাবে। 

গায়ানায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের আগে সংবাদ মাধ্যমকে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ব্যাটিং-বোলিং সব দিক থেকে প্রেসার আসছে তা নয়। কখনও ওপেনাররা রান এনে দেবে। কখনও মিডল অর্ডার ব্যর্থ হবে। কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি মনে করি, নিয়মিত ১৬০-১৭০ রান করতে পারলে বোলাররা ডিফেন্ড করতে পারবে।’ 

গায়নায় ২০০৭ বিশ্বকাপে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। সাকিব-রাজ্জাক-রফিক স্পিন দিয়ে ধসিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। উইকেটের ধরণ এখনও তেমনই আছে। শেষ ম্যাচে তাই একাদশে ঢুকবেন নাসুম আহমেদ, ‘এখানকার উইকেট আগেও দেখেছি গ্রিপ করেছে। আজও দেখে মনে হলো উইকেট ড্রাই। শেষ ম্যাচে নাসুমকে খেলানো হতে পারে।’ 

ডমিনিকার মতো গায়ানায়ও বৃষ্টি হচ্ছে। ঠিক মতো অনুশীলনও হচ্ছে না। ম্যাচের আগের দিনও বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটিয়েছে। শেষ ম্যাচও ভেসে যেতে পারে বৃষ্টিতে। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। টাইগার কাপ্তান জানালেন, বৃষ্টি নিয়ে তারা ভাবছেন না। বরং পুরো ২০ ওভারের ম্যাচ হবে ওই আশা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।