ঈদুল আজহার জামাতের জন্য প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। ঈদ জামাতকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

প্রতিবারের মতো এবারও নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ২০১৬ সালের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের হুমকি নেই। যে কোনো ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। সবাই যেন নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন, সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, র‌্যাবসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা থাকছেন। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাঠের চারদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এবার অনুষ্ঠিত হবে ১৯৫তম ঈদুল আজহার জামাত। শুরু হবে সকাল ৯টায়। জামাত পরিচালনা করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
জামাতের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখতে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌর মেয়রসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন করেছেন।
এরই মধ্যে মাঠে দাগ কাটা, বালু ফেলা, দেয়ালে রং করাসহ শোলাকিয়া ময়দানকে জামাতের উপযোগী করার কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে অজুখানা এবং টয়লেট। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও কয়েকটি মেডিকেল টিম। দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম সাংবাদিকদের জানান, জায়নামাজ ছাড়া ঈদগাহে কিছু আনা যাবে না। মোবাইল ফোন ও ছাতাও না। এ সময় তিনি সবাইকে মাস্ক পরারও পরামর্শ দিয়েছেন।
জনশ্রুতি রয়েছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন।
সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় 'সোয়া লাখিয়া', যা এখন বিবর্তনের ধারায় শোলাকিয়া নামে পরিচিত।