পদ্মা সেতুর লোয়ার ডেকে (নিচতলা) রেললাইন স্থাপনের কাজ চলতি মাসের শেষ নাগাদ শুরু হতে পারে। এ জন্য আগামীকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে রেলের কাছে বহুমুখী এ সেতুটি হস্তান্তর করা হচ্ছে। সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন।

গতকাল শুক্রবার রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে রেললাইনের কাজ শুরু হবে। আগামী বছরের জুনে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম সমকালকে জানান, আজ শনিবার সমন্বয় সভা হবে। চার শর্তে রেল সংযোগের ঠিকাদার সিআরইসিকে আগামীকাল রোববার পদ্মা সেতু হস্তান্তর করা হবে। কাজ শেষে তারা আবার সেতুর ঠিকাদারের কাছে পদ্মা সেতু বুঝিয়ে দেবে।

পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন চলাচলে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল লাইন রেললাইন নির্মাণ কাজ চলছে।

প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেতুতে ব্যালাস্টলেস রেল ট্র্র্যাক স্থাপনে ছয় মাস সময় লাগবে। রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন সমকালকে বলেছেন, এ বছরের মধ্যেই রেললাইন স্থাপন কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা ছিল। ৩০ জুলাই কাজ শুরু হলে বাধা-বিপত্তি না এলে আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ শেষ হবে। তিনি জানান, সেতুতে রেললাইন স্থাপনের প্রয়োজনীয় মালপত্র এরই মধ্যে বিদেশ থেকে এসেছে।

সেতুতে যানবাহন চলাচলের কারণে সৃষ্ট কম্পনে রেললাইন স্থাপনে সমস্যা হবে কিনা- এ প্রশ্নের এখনও সমাধান হয়নি। গতকাল রেল সংযোগ প্রকল্পের পরামর্শক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন বলেন, সেতুতে যান চলাচলের ফলে সৃষ্ট কম্পনের প্রভাব দেখতে বিশেষজ্ঞ প্যানেল নিয়োগ করা হয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নকশা অনুযায়ী কম্পনের কারণে সমস্যা হবে না। সেতুতে রেলের কাজ চলাকালে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কিনা- এ প্রশ্নে জাহিদ হোসেন বলেন, সেটা নেই। যদি কম্পন বেশি হয়, প্রয়োজনে গাড়ির গতি কম করা যেতে পারে।

বিষয়টি পরামর্শক দলের সঙ্গে কথা বলে নির্ধারণ করা হবে।

রেলমন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের জুনে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ সম্পন্ন হবে। ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজ এগিয়েছে ৬৪ শতাংশ, মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে অগ্রগতি ৮০ শতাংশ।