নড়াইলের লোহাগড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিরাপত্তা ও আহতদের সুচিকিৎসারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো। শনিবার পৃথক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ও সরকারের ব্যর্থতায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এর ফলে হামলাকারীরা নিজেদের বিচারের ঊর্ধ্বে ভাবতে শুরু করেছে। 

নড়াইলের হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত উল্লেখ করে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘কিছুদিন আগে নড়াইল কলেজে অধ্যক্ষকে জুতার মালা এবং সম্প্রতি হিন্দুবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর মনে হচ্ছে, পুরো বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যাতে দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি ভেঙে যায়। ভারতে নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে যে প্রতিক্রিয়া দেখলাম, তাতে বাংলাদেশে অন্তত কিছুটা সংযত আচরণ করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন আবার আমরা একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখছি এবং সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এটাকে পরিকল্পিত না বলে কী বলব?’

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ‘প্রজন্ম ৭১’। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতিসত্তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত আক্রমণ ও ষড়যন্ত্র এ দেশে গত কয়েক যুগ ধরেই চলছে। বর্তমান সরকার সফলভাবে এ দেশে জঙ্গিবাদ দমন করেছে। কিন্তু সমাজের ভেতরে ঢুকে পড়া উগ্র সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় প্রশাসনকে কোনো উদ্যোগ নিতে আমরা দেখছি না। এ ব্যাপারে শিক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের চরম ব্যর্থতা আছে।’

এ ছাড়াও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাসদসহ (মার্কসবাদী) পৃথক সংগঠন নড়াইলের ঘটনায় বিবৃতি দিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে।