- বাংলাদেশ
- দেশভাগের পরই স্বাধীনতার প্রস্তুতি নেন তাজউদ্দীন
জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা
দেশভাগের পরই স্বাধীনতার প্রস্তুতি নেন তাজউদ্দীন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দীন আহমদ। ফাইল ছবি
ভারত ও পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পরই তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন এবং সেভাবে প্রস্তুতি নিতে থাকেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের অনুপস্থিতিতে তাজউদ্দীনকে নেতৃত্বভার দিয়েছেন।
শনিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী বলেন, তাজউদ্দীন আহমদের ভূমিকা তিন পর্যায়ে আলোচনা হতে পারে। প্রস্তুতি পর্বে তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেন ও আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সে সময় গঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া প্রবাসী সরকারের জটিলতা থাকে, সেই পরিস্থিতিতে তিনি একটি প্রশাসন গড়ে তোলেন। জুলাইয়ে সেক্টর কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুলতানা আক্তার বলেন, পাকিস্তান ও মুসলিম লীগের অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদে তাজউদ্দীন তাঁর অসাম্প্রদায়িক অবস্থানে দৃঢ় ছিলেন। আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম লীগ শব্দ বাদ দেন। ১৯৭১ সালের অপারেশন সার্চলাইটের পর ভারতে গিয়ে প্রবাসী সরকার গঠন করেন। এরপর ১০ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বভার নিয়ে মাত্র ৯ মাসে দেশ স্বাধীন করেন।
লেখক ও সাংবাদিক ইমতিয়ার শামীম বলেন, তাজউদ্দীন আহমদের কাছে আমাদের যে ঋণ, তা আকাশ সমান।
অনুষ্ঠানে আবৃত্তিশিল্পী তামান্না সারোয়ার নীপা তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি থেকে ১৯৫২ সালের ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারির এবং আবৃত্তিশিল্পী সৈয়দ শহিদুল ইসলাম নাজু ২৫ ফেব্রুয়ারির দিনপঞ্জি পাঠ করেন। পরে তাঁরা তাজউদ্দীনের কয়েকটি চিঠি পড়ে শোনান।
মন্তব্য করুন