- বাংলাদেশ
- প্রযুক্তির অপব্যবহারে নিজেদের ক্ষতি করছি, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তারা
প্রযুক্তির অপব্যবহারে নিজেদের ক্ষতি করছি, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তারা

বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানের একটি চিত্র
আমরা সবই জানি ও বুঝি। তবু স্বহস্তে নিজেদের ক্ষতি করে চলছি প্রতিনিয়ত। প্রযুক্তির অপব্যবহার আমাদের অমানুষ করে তুলছে। পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলছি। বাড়ছে স্বাস্থ্যহীনতা ও নানা রোগের ঝুঁকি। এভাবে বিভিন্ন প্রযুক্তিকে জেনেবুঝে ক্ষতিকর উপায়ে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনছি।
শনিবার রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে চতুর্থ আন্তঃকলেজ পরিবেশ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তাঁরা আরও বলেন, দেশে এখন শস্য উৎপাদন এবং সংরক্ষণে নানা কীটনাশক তৈরি ও প্রয়োগ হচ্ছে। এসব বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্যের অনুপ্রবেশ ঘটছে মানবদেহে। এতে নানা জটিল রোগ দানা বাঁধছে আমাদের শরীরে। পরিবেশ দূষণের জন্য পৃথিবীতে ৮০ শতাংশ নিত্যনতুন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক উপাদান থেকে ক্রমেই কৃত্রিমতার দিকে ধাবিত হচ্ছি আমরা। উন্নয়ন ও নগরায়ণের নামে বন ধ্বংস করছি, নিজেদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছি। এ ক্ষেত্রে সচেতনতার বিকল্প নেই।
বিতর্কে অংশগ্রহণ করে রাজধানীসহ অন্যান্য জেলার ২৬টি দলের ৮৪ বিতার্কিক। এতে বিজয়ী হয় রাজধানীর মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ, রানার্সআপ হয় নটর ডেম কলেজ।
এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের আয়ু ক্রমেই কমে আসছে। এর দায়ও আমাদেরই। প্লাস্টিক ও পলিথিন এবং নানা ধরনের কীটনাশক আমাদের রক্তে মিশে যাচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে এখনই সচেতন হতে হবে। ক্ষতির বিষয়ে নানা তথ্য-উপাত্ত জানিয়ে প্রচার চালাতে হবে।
পরিবেশ রক্ষায় ‘কান পেতে শুনি প্রকৃতির ধ্বনি’ প্রতিপাদ্যে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে আরও সচেতন হতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণের দ্বায়িত্ব তাদেরই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিকুন নাহার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন