আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি ২০২৩-২০২৭ মৌসুমের এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম) প্রকাশ করেছে। নতুন মৌসুমে আইসিসির ১২ পূর্ণ সদস্য রেকর্ড ৭৭৭ ম্যাচ খেলবে। এর মধ্যে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৫০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। 

বুধবার নতুন এই এফপিটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ চার ম্যাচ থেকে পাঁচ ম্যাচের টেস্টে উন্নীত করা হয়েছে। এর আগে ১৯৯২ সালে পাঁচ টেস্টের সিরিজ হয়েছিল।  

আইসিসির ২০২৩-২০২৭ মৌসুমের এফটিপি। ছবি: ক্রিকইনফো

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শুরু হবে নতুন এফটিপির সিরিজ। চার মৌসুমের ওই সূচিতে টেস্ট ম্যাচ রাখা হয়েছে ১৭৩টি। ওয়ানডে আছে ২৮১টি এবং টি-২০ আছে ৩২৩টি। চলতি মৌসুমে ম্যাচ সংখ্যা ৬৯৪টি। ওই সূচির মধ্যে ২০২৪ ও ২০২৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ আছে। ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচ আছে এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ আছে। 

আগামী ট্যুর প্রোগ্রামে সর্বোচ্চ ম্যাচের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ওয়ানডে ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। লিটন-মুস্তাফিজরা পাবেন ৫৯টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে ম্যাচ। সর্বোচ্চ ৭৩ টি-২০ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ টি-২০ ভাগে পেয়েছে ৫৭টি। ভারত (৬১) ও আফগানিস্তানের (৫৮) পরেই আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। 

এফটিপিতে ২০২৩-২০২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ। ছবি: আইসিসি

ভবিষ্যত এই সূচিতে টেস্ট ম্যাচও নিউজিল্যান্ড (৩২), দক্ষিণ আফ্রিকা (২৮) ও পাকিস্তানের (২৭) চেয়ে বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ (৩৪)। সর্বোচ্চ টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড (৪৩) ও অস্ট্রেলিয়া (৪০)। ভারতের ওয়ানডে ম্যাচ ৪২টি ও টেস্ট আছে ৪০টি। 

২০২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট আছে। ২০২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোমে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাওয়ে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। 

এফটিপিতে ২০২৫-২০২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ। ছবি: আইসিসি

নতুন এফটিপি নিয়ে আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খান বলেছেন, ‘আগামী চার বছরের ট্যুর প্রোগ্রাম তৈরির জন্য আমাদের সদস্যরা যে পরিশ্রম করেছেন তার জন্য তাদের ধন্যবাদ। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেট, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আইসিসির টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে এই এফপিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’