তৈরি পোশাকের নিট ক্যাটাগরির কারখানায় নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টি ও ব্র্যান্ড ক্রেতাদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সহায়তা দেবে পোশাক খাতের উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম সাসটেইনেবল টেক্সটাইল ইনিশিয়েটিভ টুগেদার ফর চেঞ্জ (স্টিচ)। এ বিষয়ে বিকেএমইএর সঙ্গে স্টিচের পৃথক দুটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) সই হয়েছে। 

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত এমওইউতে সই করেন বিকেএমইএর সংগঠনের সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান এবং ফেয়ারওয়্যার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলেকজান্ডার কন্সটাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএর সহ-সভাপতি আকতার হোসেন অপূর্ব, সাবেক পরিচালক শহীদউদ্দিন আহমেদ আজাদ, স্টিচের কনসোর্টিয়াম কো-অর্ডিনেটর মায়ে ক্যালেন্ডার, ঢাকায় নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি বাস ব্লাউ, স্টিচের ট্রেড ইউনিয়ন উপদেষ্টা আমিনুল হক।

চুক্তি অনুযায়ী, বিকেএমইএর সদস্য কারখানাগুলোতে নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ উন্নয়নে প্রতিটি সদস্য কারখানায় একটি অভিযোগ কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত এবং সুপারিশের জন্য কাজ করবে এ কমিটি। লিঙ্গ বৈষম্য, যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি নির্মূলে কাজ করবে এ কমিটি। এজন্য মাস্টার ট্রেইনারদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মূল্যায়নে বিকেএমইএকে কারিগরি সহায়তা দেবে স্টিচ কনসোর্টিয়াম। প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে মন্ডিয়াল এফএনভি, এথিক্যাল ট্রেডিং ইনিশিয়েটিভ (ইটিআই) এবং ফেয়ারওয়্যার ফাউন্ডেশন এই কার্যক্রমে যুক্ত থাকবে। এতে অর্থায়ন করে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে যুক্ত আছে নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পোশাকের ন্যায্য দর বাড়াতে রপ্তানিকারক এবং ক্রেতাদের মধ্যে স্বচ্ছ এবং নৈতিক ক্রয় অনুশীলন নিয়ে কাজ করে স্টিচের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফেয়ারওয়্যার ফাউন্ডেশন। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি ফেয়ার প্রাইস নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। উৎপাদনের খরচ, উপাদান ও পরিমাণ সন্নিবেশ করে কারখানা এবং ব্র্যান্ডগুলোকে তথ্য দিয়ে ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে সহায়তা করবে অ্যাপটি। ক্রেতাদের কাছ থেকে ন্যয্যমূল্য নিশ্চিত করতে বিকেএমইএর সদস্য কারখানাগুলোও এ দর কষাকষিতে সহায়তা পাবে এ অ্যাপের মাধ্যমে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— ইটিআইর কান্ট্রি ম্যানেজার আবিল বিন আমিন, ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার বাবলু রহমান, মন্ডিয়াল এফএনভির কনসালটেন্ট শাহিনুর রহমান প্রমুখ।