বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করলে যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি করবে বলে মনে করছেন না প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ফার্নান্দেজ। তখন সরাসরি প্রশ্ন করলাম, তাহলে আমরা কি অন্য জায়গা (রাশিয়া) থেকে ডিজেল আনতে পারব? কিন্তু তিনি কোনো উত্তর দিলেন না। হ্যাঁও বললেন না, নাও বললেন না। আমি এটাকে হ্যাঁ ধরে নিয়েছি। তাই আমার মনে হয়, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করলে ওয়াশিংটনের আপত্তি থাকার কথা নয়। উপদেষ্টা বলেন, এ ক্ষেত্রে কিছু কূটনৈতিক শিষ্টাচার (ডিপ্লোম্যাটিক নরমস) থাকে। কিন্তু সরলভাবে আমি যেটা বুঝি, মন্ত্রী পর্যায়ের একজন যখন কিছু বলে, তার একটি গুরুত্ব রয়েছে।'

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, জ্বালানির দাম কম থাকলে কোনো সমস্যাই হতো না। এখন দেশে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা মূলত জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে। এখন দেশে ২০০৯ সালের তুলনায় চার গুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে গত পাঁচ বছরে ৩৪টি কূপ খনন করা হয়েছে। গত বছরই চারটি কূপ খনন করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশে অনুসন্ধান হয়নি, এটা ঠিক না।

তিনি বলেন, দেশের স্থলভাগে বাপেক্স কাজ করবে। সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ আইওসিকে (বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি) দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। তবে তেমন সাড়া মিলছে না।

তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, তেলের দাম না বাড়ালে বাজেট থেকে ভর্তুকি দিতে হতো। এতে মূল্যস্ম্ফীতি বাড়ত।

বিদ্যুতের সংকট আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি সচিব মো. মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।