বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহান। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর থানায় এ মামলা করেন তিনি।

মিরপুর থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান সমকালকে বলেন, ইসরাত জাহান এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছেন তাঁর স্বামী। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। গত ২৫ আগস্ট আল-আমিন তাঁকে মারধর করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মিরপুর সেকশন-২ এর ডি ব্লকের ২ নম্বর রোডে আল-আমিনের ফ্ল্যাটে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই ফ্ল্যাটের মালিক আল-আমিন। ফ্ল্যাটের মূল্য বাবদ ২০ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে তাঁর।

ইসরাত জাহান সমকালকে জানান, দুই বছরের বেশি সময় ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আল-আমিন তাঁকে মারধর করে বাবার বাড়ি ঝিনাইদহে পাঠিয়ে দেন। গত জানুয়ারিতে তিনি মিরপুরে স্বামীর বাসায় আসেন। এসে দেখেন অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে সংসার করছেন আল-আমিন। এ সময় আল-আমিন তাঁকে মারধর করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা নেন। তবে পুলিশ পৌঁছার আগেই আল-আমিনের দ্বিতীয় স্ত্রী চলে যান। পুলিশ আপস করিয়ে দিলেও আল-আমিন আলাদা বসবাস শুরু করেন। মাঝেমধ্যে বাসায় এসে ফ্ল্যাটের টাকা পরিশোধের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবিতে মারধর করতেন। সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট তাঁকে মারধর করা হয়।

ইসরাত বলেন, দুই সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার করতে চেয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নেওয়ার কথা বলে স্বামীর সঙ্গে আপসেরও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনোভাবেই আল-আমিন সংসার করতে চাচ্ছেন না।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার এসআই সোহেল রানা বলেন, আল-আমিনকে ধরতে তাঁর বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তাঁকে পাওয়া যায়নি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে শুক্রবার সন্ধ্যায় আল-আমিনকে একাধিকবার ফোন করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।