- বাংলাদেশ
- সারের অপব্যবহার ঠেকাতে গবেষণা
সারের অপব্যবহার ঠেকাতে গবেষণা

এবার আমন মৌসুমে সারের জন্য হয়রান চাষিরা। সময় মতো সার পাওয়া যাচ্ছে না, বাড়ছে কালোবাজারি- এমন নানা অভিযোগ দানা বাঁধছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, সারের প্রয়োজন কতখানি? ফসলের উৎপাদন বাড়তে রাসায়নিক সারের প্রয়োগ বিপদ ডেকে এনেছে। বাড়তি ফসলের আশায় মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার করছেন চাষিরা। ফলে ক্রমেই মাটির ভৌত, রাসায়নিক এবং জৈবিক ধর্ম ব্যাহত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সারের ব্যবহার নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা। সেই গবেষণার আলোকেই সরকার দেশে সার ব্যবস্থাপনা ও নীতি প্রণয়ন করবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে 'নিউট্রিয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট ফর ডাইভার্সিফাইড ক্রপিং ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক ছয় দিনব্যাপী চূড়ান্ত পর্যালোচনা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলাম।
পাঁচ বছর মেয়াদি এ গবেষণা পরিচালনা করছে অস্ট্রেলিয়ার মার্ডক বিশ্ববিদ্যালয়। এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্ডক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড বেল। সহযোগী হিসেবে আছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায় (বাকৃবি), মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অর্থায়ন করছে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ এবং বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন।
২০১৮ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি এ বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে। এখন চলছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মার্ডক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অ্যান্ডু ডিকস, বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান ও প্রকল্পের সমন্বয়ক বখতিয়ার হোসেন।
বক্তারা বলেন, চাষি যদি মাটির চরিত্র বুঝে সার দেন, তাহলে অপ্রয়োজনীয় সার দেওয়া কমবে। তাতে চাষের খরচ বাঁচবে, মাটির স্বাস্থ্য বাঁচবে, ফসল ভালো হবে, পরিবেশও বাঁচবে। ভর্তুকির প্রয়োজন কম হলে সরকারের টাকাও বাঁচবে। এ জন্য দরকার সার প্রয়োগের যথাযথ নীতি।
এ বিষয়ে কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলাম বলেন, সরকারের সুপারিশ করা সার ব্যবহারের পরিমাণ ও বাস্তবে কৃষকরা কতটুকু ব্যবহার করেন- তার পার্থক্যের প্রতিবেদন চূড়ান্ত হচ্ছে। এ গবেষণার মাধ্যমে পাওয়া সুপারিশগুলো দেশের সার ব্যবস্থাপনা ও নীতি প্রণয়নে সহায়ক হবে।
মন্তব্য করুন