ফরিদপুরের দুর্গম চরাঞ্চলে পদ্মা নদী ভাঙনে গত কয়েকদিনে শতাধিক বাড়ি ও বিপুল পরিমানে ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, অব্যাহত নদী ভাঙনে উস্তাডাঙ্গী, মৃধাডাঙ্গী ও গোলডাঙ্গির তিনটি গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে গেছে। এসব পরিবারের সদস্যরা এখন বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অন্য মানুষের বাড়ির আঙ্গিনায় অথবা সরকারি রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছেন।  

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙন হুমকির মুখে আছে ডিক্রিরচর ও নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চারটি গ্রামের সহস্রাধিক বাড়িঘর, সরকারি রাস্তা,  মসজিদ, চরটেপুরাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ছোট ছোট বেশ কিছু কালবার্ট-ব্রিজ এবং প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গোলডাঙ্গী ব্রিজটি। হঠাৎ পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।  

এ ব্যাপারে জেলা সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক বলেন, আমরা অসহায়। আমরা পারি মানুষের  দুঃখ ও ভাঙনের বিষয় কর্তৃপক্ষকে বলতে। কিন্তু ভাঙন ঠেকানোর ক্ষমতা আমাদের নেই।  

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালী বলেন, খবর পেয়ে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ৭০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছি। নতুন নতুন যারা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদেরও পর্যায়ক্রমে তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ফরিদপুর নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, এলাকাগুলো চরের ভেতরে হওয়ায় ভাঙন ঠেকাতে ওইখানে কাজ করার মতো বাজেট আপাতত নেই। এছাড়া করোনার কারণে বাজেট স্বল্পতা রয়েছে আমাদের। তাই এ ব্যাপারে খুব শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। পরে বাজেট পাওয়ার পরপ্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনা করব।

সম্পাদনা: শাম্মী আক্তার