গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে সব দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, রাজপথে সংঘাত-সহিংসতা না করে সংসদে গিয়ে জনগণের জন্য কথা বলতে হবে; নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। আমরা সব দলকে সংসদে নিয়েই কাজ করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গতকাল মঙ্গলবার ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন।

'শুভ জন্মদিন তিমির হননের নেত্রী' শিরোনামে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, জাতীয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাবেক তথ্য কমিশনার প্রফেসর সাদেকা হালিম, ড. উত্তম বড়ুয়া, ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক বিমান বড়ুয়া, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শরীফ সাহাবউদ্দীন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান বাবু, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেন, 'সম্প্রীতি বাংলাদেশ' নামটা শুনলেই বোঝা যায় আমাদের কী করণীয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারিবারিকভাবেই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বড় হয়েছেন। এর কারণ জানতে আগে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা তাঁর কন্যার মধ্যে গ্রোথিত হয়েছে বলেই শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন; বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন। তিনি বলেন, এ দেশ স্বাধীন করেছে সব ধর্মের মানুষ। তাই ধর্মান্ধতার বিভ্রান্তি থেকে আমাদের মুক্ত থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, '৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পাকিস্তানি পরাজিত শক্তির সীমাহীন উল্লাস দেখেছি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়েই শুধু খুনিরা ক্ষান্ত হয়নি; তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। দেশকে নিয়ে গেছে অন্ধকারের দিকে। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে দূর করেছেন সেই অন্ধকার। তিনি শুধু দলের হালই ধরেননি, জাতিকে দিয়েছেন দিশা। দেশকে নিয়ে গেছেন উন্নয়নের পথে। বারবার প্রাণনাশের চেষ্টার পরও তিনি দমে যাননি।

তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনও সক্রিয়। তারা দেশে ও দেশের বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যেন গণতন্ত্রের পথ বন্ধ করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিমির হননের নেত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।