- বাংলাদেশ
- মানসিক স্বাস্থ্যকে শিক্ষানীতিতে যুক্ত করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
মানসিক স্বাস্থ্যকে শিক্ষানীতিতে যুক্ত করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

দেশে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে মানসিক সমস্যা রোগী। যাদের বেশির ভাগের বয়স ৫০ বছরের নিচে। শারীরিক অনেক জটিলতার কারণ এই মানসিক স্বাস্থ্যহীনতা। তাই এটিকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষানীতিতে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন মানসিক চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মধুমতি হলে ১১ তম আন্তর্জাতিক মনরোগ চিকিৎসকদের এবং ১৩তম সার্ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ সোসাইটি অব পিডিয়াট্রিক আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হবে চট্টগ্রামে।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আফজাল জাভেদ বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা ব্যবস্থার বড় একটি অংশ। এ স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। অটিজমের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যে বাংলাদেশ, ভুটানসহ চারটি দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশসসহ বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্যহীনতায় বড় একটি অংশ তরুণেরা। যাদের ৭৫ ভাগের বয়স ৫০ বছরের নিচে। ধর্মীয় রীতিনীতি ও পারিবারিক সদাচারণ এক্ষেত্রে অনেকটাই কমিয়ে আনে। একই সঙ্গে সিভিল সোসাইটিকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষানীতি যুক্ত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ৬৮০ জন মনবোদি অংশ নেবেন। একইসঙ্গে ৬৮ জন বক্তা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন। ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক প্রধান, ভারতের সংস্থার প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা কথা বলবেন।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব সাইকিয়াট্রিকের সহসভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসকদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলন। বৈজ্ঞানিক এ সম্মেলনে গবেষণা তুলে ধরা হবে। এখান থেকে দেশের জনগোষ্ঠীর যে কথা বলবেন তা যদি বাস্তবায়ন করতে পারলে স্বাস্থ্যসেবায় অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ সাইক্রিয়াটিস্টিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকার এখন এই রোগে গুরুত্ব দিচ্ছে। মানুষের দোরগোড়ায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা যাতে পৌঁছে দিতে পারি সেই চেষ্টা করছি।
জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২২ সালে মানসিক স্বাস্থ্যনীতি যুগোপযোগী করা হয়েছে। ২০১৮ সালে মানসিক স্বাস্থ্যের আইন এবং কৌশল হয়েছে। কাগজে কলমে অনেক কিছু হয়েছে এখন কাজ করার সময়। বর্তমানে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে প্রতিদিন ৪০০-৬০০ জন রোগী আসে, অথচ সেই পরিমাণে জনবল নেই। ছয়জন অধ্যাপকের জায়গায় আছে মাত্র একজন। তবে দেশে ৬০৩টি সরকারি-বেসরকারি কেন্দ্রে কৈশোরবান্ধব কেন্দ্র রয়েছে।
মন্তব্য করুন