আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বাদ পড়াদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, আমরা ৯৭ শতাংশ জনসংখ্যাকে প্রথম ডোজ এবং ৯০ শতাংশকে দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে লক্ষ্য অর্জন করেছি। অবশিষ্ট ভ্যাকসিনের মেয়াদ শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। তাই, ৩ অক্টোবরের পর আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ক্যাম্পেইন  চালাতে পারবো না। অক্টোবরের পর থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া বন্ধ থাকবে এবং শুধুমাত্র বুস্টার ডোজ দেওয়া চলবে। .

বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন,যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাই যারা টিকা নেননি তারা টিকা নিয়ে নেন।

তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে তিনটি ডোজ দিয়ে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ছিল সরকারের। ইতোমধ্যে জনসংখ্যার প্রায় ৪১ শতাংশ প্রত্যেকে বুস্টার ডোজ পেয়েছে।

এদিকে, ১১ অক্টোবর থেকে ৫-৬ বছর বয়সী শিশুদের টিকার বিশেষ  ক্যাম্পেইন শুরু হবে। উপজেলা পর্যায়ে এ ক্যাম্পেইন সম্প্রসারিত করা হবে বলেও জানান অধ্যাপক খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, চতুর্থ ডোজ দেয়ার বিষয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন এখনও পাওয়া যায়নি। তাই চতুর্থ ডোজের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিজিএইচএসের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবির, জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিপ্লয়মেন্ট টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এবং ডিজিএইচএসের অন্যান্য কর্মকর্তারা।