- বাংলাদেশ
- ঢাবি উপাচার্য সম্পর্কে অশালীন মন্তব্যের নিন্দা-প্রতিবাদ
ঢাবি উপাচার্য সম্পর্কে অশালীন মন্তব্যের নিন্দা-প্রতিবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া একটি অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি উপাচার্য ও প্রক্টর সম্পর্কে যে বক্তব্য রেখেছেন তা 'অত্যন্ত অশালীন, আপত্তিকর' উল্লেখ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি শিক্ষক সমিতি।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন মত-পথ এবং প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তা ও দর্শনের চর্চাকেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরাই বিভিন্ন সংকটে জাতিকে পথনির্দেশ করেছেন। কিন্তু অতীতে কখনো কখনো বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক সরকারের আবির্ভাবের ফলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে। সামরিক স্বৈরশাসকের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যাম্পাসে অছাত্র সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি ও অস্ত্রের রাজনীতির সূচনা হয়েছিল। তাদের প্রত্যক্ষ মদদে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীকে জীবন দিতে হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রথমবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে ছাত্ররাজনীতি ছাত্রদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বৈধ ও অবিবাহিত ছাত্রদের হাতে ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার জন্য সাংগঠনিক পদ পেতে ছাত্রদের বয়স নির্ধারণ ও বৈধ ছাত্রত্বের শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন। বর্তমান সময়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহতভাবে চলমান রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাবি উপাচার্য গত তিন দশকের বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে ২০১৯ সালে সব ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করে ডাকসু নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছেন। নিজেদের অপকর্মের দায়ভার নিয়ে বিতাড়িত ছাত্র সংগঠনকে ক্যাম্পাসে তাদের রাজনীতি চর্চার সুযোগ করে দিয়েছেন। অথচ বিএনপি নেতা রিজভী উপাচার্য ও প্রক্টরকে অশালীন ভাষায় হুমকি-ধামকি দিয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ‘চাকর-বাকর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রহুল কবির রিজভীর এ ধরনের অশালীন বক্তব্য ও হুমকি প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন