- বাংলাদেশ
- জলবায়ু অভিযোজনের চেয়ে প্রশমনে আরও গুরুত্ব দেয়া উচিত: সাবের হোসেন চৌধুরী
জলবায়ু অভিযোজনের চেয়ে প্রশমনে আরও গুরুত্ব দেয়া উচিত: সাবের হোসেন চৌধুরী

জলবায়ু সামঞ্জস্য কৃষি শস্যের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বন্যাপ্রবন অঞ্চলে জনবল বৃদ্ধি করে সরকারের উচিত বাৎসরিক বা নিয়মিত ভিত্তিতে দুর্যোগ সহনশীল শস্যের সক্ষমতা যাচাই করা। উপকূল অঞ্চলে প্রান্তিক চাষীদের লাভবান করতে সরকারের উচিত বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে চাষীদের প্রণোদনা প্রদান করা। চর অঞ্চলের প্রান্তিক চাষীদের পন্য পরিবহন সুবিধা ও বাজার সংযোগ তৈরী করে দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর পাহাড়ী অঞ্চলে কৃষির জন্য সরকারের উচিত পৃথক নীতিমালা গ্রহণ করা।
‘জলবায়ু সুসামঞ্জস্য কৃষি–বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল কৃষির কার্যকারিতা মুল্যায়ন ‘ শিরোনামে রাজধানীতে একটি গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফলে এসব সুপারিশ উঠে আসে।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের এই যৌথ গবেষনায় প্রান্তিক মানুষের জীবিকায়নে জলবায়ু সুসামঞ্জস্য কৃষির মাধ্যমে কিভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায় সে বিষয়ে সম্ভাব্য সমাধান খোঁজা হয়। জাতীয় পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বাংলাদেশের চর, উপকূল,বন্যা প্রবন এবং পাহাড়ী অঞ্চলের সাতটি জেলা-গাইবান্ধা, জামালপুর, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ,সুনামগঞ্জ,বান্দরবান এবং পটুয়াখালীতে এই গবেষণা পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. জাকারিয়া। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কাম্পাসে সরকারী কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিও প্রতিনিধি, বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীরা গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম গবেষণা প্রতিবেদন ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য মো. সাবের হোসেন চৌধুরী এম.পি উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘অঞ্চল ভিত্তিক কৃষি ও শস্য আবাদ একটা ভালো সমাধান হতে পারে। তবে আমাদের উচিত জলবায়ু সুসামঞ্জস্য কৃষির চেয়েও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে আরও মনোযোগী হওয়া ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা।’
অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বার্টলেট। গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর মুক্ত আলোচনা সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশন্স এন্ড পোগ্রাম কোয়ালিটি) চন্দন জেড গোমেজ। তিনি উল্লেখ করেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন সবচেয়ে সুবিধা বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনপদের মানুষের জন্য কাজ করে যেসব মানুষের জীবন জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ভীষনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। বিশেষ করে তাঁদের কৃষি নির্ভর জীবিকায়ন হুমকির মুখে। যে কারনে কৃষি নির্ভর এসব মানুষের জীবিকায়ন কিভাবে উন্নত করা যায় তার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এই গবেষণার মাধ্যমে।
মন্তব্য করুন