জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনের তথ্য যাচাই শুরু হচ্ছে আগামী ১০ অক্টোবর। দেশের সব জেলার নমুনাভিত্তিক ৩৫৪টি এলাকায় সরেজমিনে এই যাচাই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এতে দেশে অবস্থান করা বিদেশি এবং বিদেশে ছয় মাসের কম সময় অবস্থান করা বাংলাদেশিদেরও গণনার আওতায় আনা হবে।
৯ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিটে যে যেখানে আছেন, তার ভিত্তিতে এ কার্যক্রম চলবে। ট্যাবের মাধ্যমে কম্পিউটার অ্যাসিসটেড পার্সোনাল ইন্টারভিউয়িং (সিএপিআই) পদ্ধতিতে কার্যক্রম চলবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত। এতে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে প্রাথমিক প্রতিবেদনের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। এরপর প্রকাশ করা হবে জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন।

যাচাই কার্যক্রম পরিচালনা করবে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএস। জরিপ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা ও কর্মীদের জন্য গতকাল সোমবার এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

২০১১ সালে পরিচালিত আদমশুমারি, ২০১৩ সালে পরিচালিত অর্থনৈতিক শুমারি এবং ২০১৫ সালে পরিচালিত বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক শুমারির পিইসি পরিচালনা করেছে বিআইডিএস।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী মূল্যস্ম্ফীতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, দু-একদিনের মধ্যেই আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ম্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, জরিপ কার্যক্রমে বিবিএসের আরও স্বাধীনতার প্রয়োজন। ভারতে পরিসংখ্যান সংস্থা যেভাবে স্বাধীনতা ভোগ করে, বাংলাদেশে তা নেই।

পরিকল্পনা কমিশনের সচিব মামুন-আল-রশীদ বলেন, তথ্য যদি সঠিক না হয়, তাহলে পরিকল্পনা ঠিক হবে না। বিষয়টি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, জাতিসংঘের গাইডলাইন অনুসরণ করেই জনশুমারি করা হয়েছে। যদি ভুলত্রুটি থাকে, পিইসির মাধ্যমে তা উঠে আসবে।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মতিউর রহমান, জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন এবং পিইসি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী ড. মোহাম্মদ ইউনুস।

অভিযোগ ওঠে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তথ্য না নিয়েই বাড়ির দরজায় স্টিকার লাগিয়ে চলে যান গণনাকর্মীরা। গত ১৫ থেকে ২১ জুন সারাদেশে একযোগে পরিচালিত হয় জনশুমারি এবং গৃহগণনা। এরপর প্রকাশিত প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।