অসহায়, দুস্থ ও দরিদ্র লোকজনকে লিগ্যাল এইডের (সরকারি খরচে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা) খবর পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকেও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'লিগ্যাল এইড ইন বাংলাদেশ : সার্ভ হিউম্যানিটি অ্যান্ড সেভ সোসাইটি' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকোর্ট বিভাগের এ বিচারপতি বলেন, লিগ্যাল এইড আইন প্রণয়নের ২২ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এ নিয়ে দেশের মানুষের ধারণা এখনও কম। গ্রামের অনেক মানুষ এখনও জানেন না এটি কীভাবে কাজ করে। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইডের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিজেই নিয়েছে। এখানে বিচারপ্রার্থীর একটি পয়সাও খরচের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, এ জন্য লিগ্যাল এইডের ধারণা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি লায়ন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল ওয়াহহাব বলেন, আমরা সবসময় মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। এ বছর চক্ষু শিবিরের আয়োজন করে ১০ হাজার মানুষের ছানি অপারেশন বিনামূল্যে করা হবে। দেড় লাখ বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম, এক লাখ মানুষকে ডায়াবেটিস পরীক্ষার আওতায় আনা, হুইলচেয়ার, সেলাই মেশিন ও গবাদি পশু বিতরণেরও কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।
লায়ন্স ক্লাবের সাবেক জেলা গভর্নর-৩১৫ জালাল আহমেদ বলেন, সমাজের বহু মানুষ আছেন যাদের আইনি সহায়তা নেওয়ার মতো অর্থ নেই। তাঁদের অধিকার রয়েছে এ সহায়তা পাওয়ার। এসব মানুষের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন তেজগাঁও কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা। তিনি বলেন, সমাজে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে। প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে নারী ও শিশুরা। তরুণ সমাজ নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। এ অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে হবে।
সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন আইনজীবী হোসনে আরা বাবলির সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন জালাল আহমেদ, মোহাম্মদ হানিফ, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা জজ ফারাহ মামুন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফারজানা শম্পা ও আইনজীবী সালমা হাই টুনি, আব্দুর রহমান, মুনমুন নাহার, তামান্না ফেরদৌস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি বশির উল্লাহ।