রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের জন্য ৬২ লাখ ইউরো অনুদান দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। 

ইউরোপীয় কমিশনের নাগরিক সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা বিভাগের (একো) প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে এই অনুদান দেয়া হয়েছে। যা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের জন্য চলমান সুরক্ষা ও সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে বলে ইউএনএইচসিআর-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, একো-র অবদান আমাদেরকে সমন্বিত ও দায়িত্বশীল পদ্ধতিতে মানসম্পন্ন সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করতে সাহায্য করে। কক্সবাজারে মানবিক কার্যক্রম যখন ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করছে, তখন ইউএনএইচসিআর-এর কার্যক্রমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চলমান সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা আনা অরল্যান্ডিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী করুণ পরিস্থিতিতে বসবাস করছে। এই অনুদানের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ শরণার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের জন্য ইউএনএইচসিআর-এর চলমান মানবিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে একো অন্যতম প্রধান দাতা। একো-র ভূমিকা শরণার্থীদের যেকোনো সম্ভাব্য ঝুঁকি পর্যবেক্ষণে, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সাহায্য করবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মিয়ানমারে সহিংসতা ও নৃশংসতা থেকে পালাতে বাধ্য হওয়ার পাঁচ বছর পর বর্তমানে ৯ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলোতে এবং আরও ৩০ হাজার শরণার্থী ভাসানচরে বসবাস করছে।