- বাংলাদেশ
- আহমেদীয়া ফাইন্যান্সের অর্থ ফেরত চেয়ে গ্রাহকদের মিছিল-সমাবেশ
আহমেদীয়া ফাইন্যান্সের অর্থ ফেরত চেয়ে গ্রাহকদের মিছিল-সমাবেশ

আহমেদীয়া ফাইন্যান্সের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সমকাল
প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন আহমেদীয়া ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর কাফরুলের ইব্রাহীমপুরে আহমেদীয়া ফাইন্যান্সের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে চার থেকে পাঁচশ’ গ্রাহকের মিঠিল এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে তারা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে তারা ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার গ্রাহকের আত্মসাৎ করা কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পেতে খোদ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সমাবেশে আহমেদীয়া ফাইন্যান্সের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক ফোরামের নেতারা বলেন, বেশি লাভের লোভ দেখিয়ে তাদের জীবনের কষ্টার্জিত শেষ সম্বলটুকু হাতিয়ে নিয়েছেন আহমেদীয়া ফাইন্যান্সের এমডি মনির আহমেদ। এই টাকায় গ্রাহকদেরকে আর্থিক সুবিধা না দিয়ে তিনি ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তুলেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, প্রায় ১১০০ গ্রাহকের কাছ থেকে গত ১৭ বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। নিজের পকেট ভরে গ্রাহকদের দূরে ঠেলে দিয়ে একপর্যায়ে গা ঢাকা দেন এমডি মনির আহমেদ। এই অবস্থায় অসহায় গ্রাহকেরা অর্থ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা আত্মসাতকৃত অর্থ উদ্ধারে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। অর্থ আদায়ে সহায়তা চেয়ে সম্প্রতি গ্রাহকেরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্বারকলিপি জমা দিয়েছেন। একই দাবিতে তারা দ্বিতীয়বারের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হবেন বলে জানা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা আত্মসাতকৃত অর্থ আদায়ের দাবিতে আহমেদীয়া ফাইন্যান্সের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে সোমবার বিকেলে মিছিল বের করেন। মিছিলটি মিরপুর, কাফরুল, মিরপুর-১৪, কচুক্ষেত বাজার ও ঢাকা ক্যান্টমেন্টের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) কার্যালয়ের সামনে দিয়ে ঘুরে এসে আহমেদীয়া ফাইন্যান্সের প্রধান কর্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। তাদের কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত ও এর সঙ্গে জড়িত প্রতারক, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ব্যানার, ফেস্টুনসহ মিছিলটি করা হয়।
গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস থেকে মনির আহমেদকে গ্রেপ্তার করে মিন্টুরোডে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এ খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা ডিবি কার্যালয়ের সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন। এরপর শাহীন খান নামের একজন ভুয়া গ্রাহক কাফরুল থানায় মনির আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ৯ অক্টোবর সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিং করেন ডিবি প্রধান। তিনি বলেন, ‘মনির আহমেদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাবাদাদ করে হবে। গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ কোথায় রেখেছেন, পাচার করেছেন কিনা জানতে চাওয়া হবে।’
জানা গেছে, এবার ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত গ্রাহকেরা মনির আহমেদসহেএ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন