- বাংলাদেশ
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো তালিকার প্রজ্ঞাপন সংশোধনের আহ্বান টিআইবির
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো তালিকার প্রজ্ঞাপন সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের লোগো
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর তালিকা নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ব্যাখ্যায়ও অস্পষ্টতা কাটেনি বলে জানিয়ে প্রজ্ঞাপন সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংগঠনটি এ দাবি জানিয়েছে।
সম্প্রতি গেজেটের মাধ্যমে সরকারি ২৯ প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর অন্তর্ভূক্ত করে তালিকা প্রকাশ করে আইসিটি বিভাগ। গত ৪ অক্টোবর এ তালিকা প্রকাশের সমালোচনা করে বিবৃতি দেয় টিআইবি। সংস্থাটির মতে, এতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হবে। এর প্রেক্ষিতে আইসিটি বিভাগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত রোববার ব্যাখ্যা দেয় যে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো তথ্য প্রাপ্তির অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।
বিবৃতিতে টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হয়, আইসিটি বিভাগের ব্যাখ্যায়ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো নিয়ে অস্পষ্টতা কাটেনি।
টিআইবি বলছে, রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো, অর্থাৎ নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। তবে প্রজ্ঞাপনে তথ্য কাঠামোর নামে পুরো প্রতিষ্ঠানকেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যা প্রশ্নবিদ্ধ। এমনকি তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৫ ধারার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এ কারণেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা ১৬(৩) এর বিধানের আওতায়, প্রজ্ঞাপনে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো প্রকার তথ্য সংগ্রহ, প্রকাশ ও মত প্রকাশকে ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিবেচনায় ‘হুমকিস্বরূপ ও ক্ষতিকারক’ বিবেচিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে। তাই প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর শুধুমাত্র কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্ককে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা যৌক্তিক বলে মনে করে টিআইবি।
মন্তব্য করুন