নোয়াখালীতে রেলসেবায় অবহেলা-অব্যবস্থাপনা রোধ এবং মান বাড়ানোসহ ৫ দফা দাবিতে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলপথমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সচেতন নোয়াখালীবাসীর ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

নোয়াখালীর রেলপথ দেশের সবচেয়ে অবহেলিত দাবি করে সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এ পথে মাত্র দুটি ট্রেন চলাচল করে। একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস প্রতিদিন গড়ে ২ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছায়। মেইল ট্রেন নোয়াখালী এক্সপ্রেস মাত্র ৩টি কোচ নিয়ে চলাচল করলেও নানা অব্যবস্থাপনার ফলে সাধারণ মানুষ সুবিধাবঞ্চিত। এ বিষয়ে সংশ্নিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা।

সমাবেশে বক্তারা এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি রেলমন্ত্রীর নোয়াখালীতে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন 'নিঝুম এক্সপ্রেস' দ্রুত চালু করার প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, এক সময় নোয়াখালী থেকে চাঁদপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম রুটে আন্তঃনগর ট্রেন, ডেমু ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করত, যা বিভিন্ন সময় লোকসানের অজুহাতে বন্ধ করা হয়েছে।

নোয়াখালীর রেলসেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ও মন্ত্রীর প্রতিশ্রুত নিঝুম এক্সপ্রেস দ্রুত চালু করা, উপসাগর এক্সপ্রেস, ডেমু ও মালবাহী ট্রেনসহ নোয়াখালী-চাঁদপুর, নোয়াখালী-সিলেট, নোয়াখালী-চট্টগ্রাম রুটের বন্ধ হওয়া ট্রেনগুলো ফের চালু, উপকূল এক্সপ্রেস টাইম শিডিউল পরিবর্তন করে আগের টাইম শিডিউলে নেওয়া ও উপকূল এক্সপ্রেসের ট্রেন সংখ্যা দুটি করাসহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা।

'সচেতন নোয়াখালীবাসী'র আহ্বায়ক মুনীম ফয়সালের সভাপতিত্বে সংহতি সমাবেশে বক্তব্য দেন নাগরিক অধিকার আন্দোলন নোয়াখালীর সদস্য সচিব জামাল হোসেন বিষাদ, সার্ভিস ফর হিউম্যান বিয়িং অর্গানাইজেশনের সভাপতি ফাহিদা সুলতানা, নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্সের সভাপতি সাইদুর রহমান রায়হান ও আলোকিত মানবিক অর্গানাইজেশনের সভাপতি পারভেজ মোল্লাসহ বিভিন্ন নাগরিক, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সমাবেশ শেষে মৌন র‌্যালি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন অংশগ্রহণকারীরা। পরে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।