বাজারে সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকলেও দাম কিছুটা বাড়তি দেখা গেছে ছোলা, অ্যাঙ্কর ও মুগ ডালের। মাস খানেকের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে এসব ডালের। তবে দীর্ঘদিন ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া আমদানি করা মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমেছে।

অন্যদিকে সংকটের সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী ৯৫ টাকা দামের প্যাকেটজাত চিনি ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করছেন, আবার কেউ কেউ প্যাকেট খুলে তা ১১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তেজকুনিপাড়া, নাখালপাড়া ও কারওয়ান বাজারে সরেজমিন এসব তথ্য জানা গেছে।

খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, যা মাস খানেক আগে ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। সেই হিসাবে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া অ্যাঙ্কর ডালের দাম রাখছেন এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।

এ ছাড়া কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩৫ টাকায়। তবে আমদানি করা মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা দরে। আগের মতোই দেশি মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়।

টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক মাসের ব্যবধানে ছোলার দাম ৩.৪৫ শতাংশ এবং অ্যাঙ্কর ডালের দাম ১১.৫৪ শতাংশ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে এই ডালের দাম বেড়েছে প্রায় ৫৩ শতাংশ। এ জাতীয় ডাল থেকে সাধারণত ব্যাসন তৈরি হয়।

পাইকারিতে বাড়ার কারণে খুচরা পর্যায়েও পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানান কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা। কারওয়ান বাজারের আব্দুর রব স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. নাঈম বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে পাইকারি বাজারে ছোলাসহ প্রায় সব ধরনের ডাল বস্তায় (৫০ কেজি) বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। তবে চিনির দাম বাড়লেও পাইকাররা চিনি দিতে পারছেন না বলে জানান তিনি।

তবে ডালের দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখছেন না আমদানিকারকরা। ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফি মাহমুদ সমকালকে বলেন, ডালের কোনো সংকট নেই। মজুত ডাল দিয়ে অন্তত আরও ছয় মাস চলা যাবে। তবে অস্ট্রেলিয়া থেকে উন্নতমানের কিছু ডাল আমদানি হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে সেগুলোর দাম হয়তো কেজিতে দুই-এক টাকা বাড়তে পারে।

এদিকে ক্রেতার জন্য চিনির বাজার এখনও অস্বস্তির। রাজধানীর বেশিরভাগ মুদি দোকানে চিনির দেখা মেলেনি। কোথাও কোথাও পাওয়া গেলেও ১১০ টাকার কমে বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। তেজকুনিপাড়ার এক মুদি দোকানি বলেন, প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দর ৯৫ টাকা লেখা রয়েছে। সচেতন ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দাম রাখা যায় না। কিন্তু ডিলারের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি দামে কেনায় তিনি প্যাকেট খুলে চিনি ১১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

তবে গতকাল সবজির বাজার স্বাভাবিক দেখা গেছে। যদিও ফার্মের ডিমের দামে কিছুটা বাড়তি। প্রতি ডজন ডিম বাজারে ১৪০ টাকায় কেনা গেলেও মহল্লার ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ১৫০ টাকা দরে।