স্টার্টআপ খুবই সম্ভাবনাময় একটি খাত। কিন্তু প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা ও আইনি কাঠামোর অনুপস্থিতি, দক্ষ মানবসম্পদের অভাব, আর্থিক সহায়তার অনিশ্চয়তাসহ নানা কারণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসছে না। বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে স্টার্টআপ নীতিমালা প্রণয়ন, শিক্ষা ও শিল্প খাতের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো, সরকারি সেবা ও সহযোগিতাপ্রাপ্তি আরও সহজ করা দরকার।

শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত 'সিএমএসএমই স্টার্টআপদের সফলতার পথে প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজনকরা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, দেশে স্টার্টআপের সংখ্যা প্রায় ১২০০। প্রতি বছর দুইশর মতো স্টার্টআপ এ খাতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষ মানবসম্পদ ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, দুর্বল সাপ্লাই চেইন অবকাঠামো এবং আর্থিক সহায়তার অনিশ্চয়তার কারণে আমরা এ খাত থেকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে বঞ্চিত হচ্ছি।

তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ফিনটেক খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার 'বিনিময়' নামে পেমেন্ট গেটওয়ের জন্য একটি পল্গ্যাটফর্ম স্থাপনের কাজ চূড়ান্ত করেছে, যেটি এ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। বাড়বে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ। তিনি জানান, ডাটা প্রটেকশন অ্যাক্টের খসড়াও চূড়ান্ত হওয়ার পথে রয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আলম স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের ইনোভেশন কার্যক্রমে মনোযোগী হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়া এসএমই বন্ড প্রবর্তনের প্রস্তাব দেন তিনি।

মূল প্রবন্ধে পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ বলেন, এ খাতের উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা ও রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কের অনুপস্থিতি, আর্থিক সহায়তা ও দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে স্টার্টআপ পলিসি প্রণয়ন, শিক্ষা ও শিল্প খাতের সমন্বয় বাড়ানো, সরকারি সেবা ও সহযোগিতা প্রদান দ্রুততর করা এবং আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।