- বাংলাদেশ
- ভোলায় নতুন কূপে ৮ হাজার কোটি টাকার গ্যাস
ভোলায় নতুন কূপে ৮ হাজার কোটি টাকার গ্যাস

ছবি: ফাইল
ভোলার টবগী-১ কূপে গ্যাস পাওয়া গেছে। রাশিয়ার কোম্পানি গ্যাজপ্রম কূপটি খনন করেছে। মজুতের পরিমাণ ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। ৩০ বছর দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা যাবে, দেশের প্রেক্ষাপটে যার বাজারদর বর্তমানে ৮ হাজার কোটি টাকা। ভোলার এই গ্যাস ব্যবহারের জন্য আরও দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে। লাইন না থাকায় আপাতত এখান থেকে গ্যাস যাবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে গ্যাজপ্রম গত ১৯ আগস্ট শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে কূপ খনন শুরু করে। ২৯ সেপ্টেম্বর ৩ হাজার ৫২৪ মিটার গভীরতায় গ্যাস মেলে। বর্তমানে ভোলার দুই গ্যাসক্ষেত্রে ২ থেকে আড়াই ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুত রয়েছে। শাহবাজপুর থেকে দিনে ৬৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, ভোলায় আরও দুটি নতুন কূপ খনন করা হবে। এতে গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট। তিনি বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনার আওতায় থাকা কূপ খনন করা হলে ৬০ থেকে ৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস মিলবে'।
ভোলায় থাকা অফগ্রিডের গ্যাস কীভাবে গ্রিডে যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোলা ও বরিশাল হয়ে পাইপলাইন করা হবে। পাশাপাশি সিএনজি আকারে আনারও চিন্তাভাবনা রয়েছে।
বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আমরা মার্চের পরিস্থিতি নিয়ে ভাবছি। কয়েকটি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র আসছে। তবে কয়লার দামও বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে সরকারকে।
বেশি দামেও গ্যাস চান ব্যবসায়ীরা- এ বিষয়ে জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, স্পট মার্কেট থেকে যদি এক জাহাজ গ্যাস আনা হয় তাহলে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। ওই গ্যাস বিক্রি করে ৫৮ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। আগামী বছর আমরা কী করে পরিস্থিতি সামাল দেব সে পরিকল্পনা এখন থেকে করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ও বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন